ঢাকা, সোমবার, ২৬শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
মিরপুরে ’টিএজি’ সদস্যদের মাঝে ক্যাপ বিতরণ করলেন ডিসি
আমতলীতে ভূমি মেলা অনুষ্ঠিত
আমতলীতে স্কুল শিক্ষকের উপর হামলা গাড়ি ভাঙচুর
পল্টনে হারিয়ে যাওয়া ৩৯ মোবাইলফোন মালিকদের বুঝিয়ে দিল পুলিশ
পল্লবীতে মাদক প্রতিরোধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
ভোলায় কোস্ট গার্ডের মৎস্য সংরক্ষণ কর্মশালা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম
খিলগাঁও থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় আসাদুজ্জামান মিয়ার ভাগ্নে কলমকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ
বেতাগীতে ভূমি সেবা উপলক্ষে বর্নাঢ্য র‍্যালি
ঝালকাঠিতে আদালতের কাঠগড়ায় গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন আত্মহননের চেষ্টা
পাঁচবিবিতে আ-লীগ চেয়ারম্যানের গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
তানোরে বড় ভাইয়ের বাড়ির রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে ছোট ভাই
গাইবান্ধায় তিন দিন ব্যাপী ভূমি মেলার উদ্বোধন
বগুড়ায় “তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার” সমাবেশ অনুষ্ঠিত
রাজাপুরে ৩৫ লাখ টাকার সড়ক সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ
বকশীগঞ্জে ভূমি মেলা উপলক্ষে সচেতনতামূলক সভা

পরিবারই পারে রিল্যাপ্স প্রতিরোধে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করতে

বর্তমান সময়ে মানুষের জীবনে মানসিক চাপ,উদ্বেগ, বিষন্নতা একটি সাধারণ সমস্যা। বিষন্নতা ও উদ্বেগের ফলে মানুষ বিভিন্ন নেশা জাতীয় দ্রব্যে আসক্ত হয়ে পড়ছে যা পরিবারের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

বর্তমানে মাদক নিরাময়ে ব্যক্তি বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা গ্রহণ করছে এবং পরিবারের সহযোগীতা ও সচেতনতার অভাবে ক্লায়েন্ট বারবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায়। আজ রবিবার (২৫ মে) সকাল ১১ টায় রাজধানীর শ্যামলীতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সভা কক্ষে আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের আয়োজনে ‘রিল্যাপ্স প্রকিরোধে পরিবারের ভুমিকা’ শীর্ষক সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাইকোলজিষ্ট ডা.মো. আখতারুজ্জামান সেলিম। এসময় তিনি বলেন-রিল্যাপ্স প্রতিরোধে পরিবারের সদস্যরা যদি সমালোচনার পরিবর্তে ভালোবাসা এবং সহানুভুতির মাধ্যমে ক্লায়েন্টের পাশে থাকে এবং ক্লায়েন্টের স্বাস্থ্যকর রুটিন অনুসরনে সহায়তা করে তবে রিল্যাপ্স প্রতিরোধে সহায়ক ভুমিকা রাখতে সক্ষম হবে। তিনি আরো বলেন,রিল্যাপ্স প্রতিরোধে পরিবারের প্রধান দায়িত্ব হলো রিল্যাপ্সের লক্ষনগুলো পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে সুনিদ্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে ফলোআপ সেশনে উৎসাহিত করা। এসময় তিনি আমন্ত্রিত অতিথিদের মাঝে রিল্যাপ্স প্রতিরোধ নিয়ে বিস্তারিত ধারনা দেন।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের সিনিয়র সাইক্লোজিস্ট রাখি গাঙ্গুলী,কেন্দ্র ব্যবস্থাপক মোসাঃ মানুয়ারা, সহকারী কেন্দ্র ব্যবস্থাপক রোজিনা খাতুন,কাউন্সেলর মাহমুদা আলম, কেস ম্যানেজার শরিফা খাতুনসহ কেন্দ্রের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

উল্লেখ্য,সমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে এবং মাদকনির্ভরশীল ব্যক্তিদের সুস্থ্য জীবনে ফিরিয়ে আনতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন গুরুত্বপূর্ন অবদান রেখে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় শ্যামলিতে অবস্থিত আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র ২০১৪ সাল থেকে মাদক নির্ভরশীল নারীদের সুস্থ্যতার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য সেবা দিয়ে আসছে।

ডিআই/এসকে

শেয়ার করুনঃ