বর্তমান সময়ে মানুষের জীবনে মানসিক চাপ,উদ্বেগ, বিষন্নতা একটি সাধারণ সমস্যা। বিষন্নতা ও উদ্বেগের ফলে মানুষ বিভিন্ন নেশা জাতীয় দ্রব্যে আসক্ত হয়ে পড়ছে যা পরিবারের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
বর্তমানে মাদক নিরাময়ে ব্যক্তি বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা গ্রহণ করছে এবং পরিবারের সহযোগীতা ও সচেতনতার অভাবে ক্লায়েন্ট বারবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায়। আজ রবিবার (২৫ মে) সকাল ১১ টায় রাজধানীর শ্যামলীতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সভা কক্ষে আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের আয়োজনে ‘রিল্যাপ্স প্রকিরোধে পরিবারের ভুমিকা’ শীর্ষক সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাইকোলজিষ্ট ডা.মো. আখতারুজ্জামান সেলিম। এসময় তিনি বলেন-রিল্যাপ্স প্রতিরোধে পরিবারের সদস্যরা যদি সমালোচনার পরিবর্তে ভালোবাসা এবং সহানুভুতির মাধ্যমে ক্লায়েন্টের পাশে থাকে এবং ক্লায়েন্টের স্বাস্থ্যকর রুটিন অনুসরনে সহায়তা করে তবে রিল্যাপ্স প্রতিরোধে সহায়ক ভুমিকা রাখতে সক্ষম হবে। তিনি আরো বলেন,রিল্যাপ্স প্রতিরোধে পরিবারের প্রধান দায়িত্ব হলো রিল্যাপ্সের লক্ষনগুলো পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে সুনিদ্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে ফলোআপ সেশনে উৎসাহিত করা। এসময় তিনি আমন্ত্রিত অতিথিদের মাঝে রিল্যাপ্স প্রতিরোধ নিয়ে বিস্তারিত ধারনা দেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের সিনিয়র সাইক্লোজিস্ট রাখি গাঙ্গুলী,কেন্দ্র ব্যবস্থাপক মোসাঃ মানুয়ারা, সহকারী কেন্দ্র ব্যবস্থাপক রোজিনা খাতুন,কাউন্সেলর মাহমুদা আলম, কেস ম্যানেজার শরিফা খাতুনসহ কেন্দ্রের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
উল্লেখ্য,সমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে এবং মাদকনির্ভরশীল ব্যক্তিদের সুস্থ্য জীবনে ফিরিয়ে আনতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন গুরুত্বপূর্ন অবদান রেখে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় শ্যামলিতে অবস্থিত আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র ২০১৪ সাল থেকে মাদক নির্ভরশীল নারীদের সুস্থ্যতার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য সেবা দিয়ে আসছে।
ডিআই/এসকে