নিজস্ব প্রতিবেদক,সকালের খবর
“কুমিল্লা নয়,চাই নোয়াখালী বিভাগ”- এই দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন নোয়াখালীর সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বুদ্ধিজীবী,শিক্ষক,সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের জনগণ। এরই ধারাবাহিকতায় “নোয়াখালী বিভাগ” ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন নাগরিক টেলিভিশন ও ভোরের কাগজের সাংবাদিক মোহাম্মদ সোহেল বাদশা। তিনি বলেন, “নোয়াখালী বিভাগ শুধু প্রশাসনিক দাবি নয়, এটি নোয়াখালীবাসীর আত্মমর্যাদার প্রশ্ন।”
বুধবার (০১ অক্টোবর) তিনি নিজ ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে “নোয়াখালী বিভাগ” ঘোষণার দাবি নিয়ে এসব কথা লিখেন।
নোয়াখালী বিভাগ ঘোষণার যৌক্তিকতা সম্পর্কে জানতে চাইলে সোহেল বাদশা বলেন,দেশের অর্থনীতি,শিক্ষা-সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে নোয়াখালীর অবদান অপরিসীম। অথচ প্রশাসনিক বিভাজনের ক্ষেত্রে নোয়াখালীকে বাদ দিয়ে পার্শ্ববর্তী কুমিল্লাকে বিভাগ ঘোষণার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের এমন সিদ্ধান্ত নোয়াখালীবাসী কখনোই মেনে নিবে না।
তিনি বলেন,নোয়াখালী হলো এদেশের প্রাচীন জনপদগুলোর একটি। ১৮২১ সালে জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা নোয়াখালী দেশের রাজনৈতিক,সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত প্রতিটি জাতীয় সংকটে নোয়াখালীর মানুষ জীবন বাজি রেখে অবদান রেখেছে। এত বড় অবদান থাকা সত্ত্বেও নোয়াখালীকে বিভাগ না দিয়ে অন্য জেলাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার চেষ্টা অবিচার ছাড়া কিছু নয়। তাই আজকের দাবি শুধু উন্নয়ন বা প্রশাসনিক সুবিধার নয়, এটি আমাদের শত বছরের ঐতিহ্য ও মর্যাদার সঙ্গে জড়িত।
সোহেল আরও বলেন,নোয়াখালী হলো দেশের অন্যতম জনবহুল জেলা। লক্ষ্মীপুর,ফেনী,চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া’সহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি জেলা নিয়ে নোয়াখালীকে সহজেই স্বতন্ত্র বিভাগ করা সম্ভব। ভৌগোলিকভাবে এ অঞ্চল সমুদ্রবন্দর, শিল্পাঞ্চল,কৃষি ও মৎস্য উৎপাদনের জন্য কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নোয়াখালী বিভাগ চাই এটি ন্যায্য দাবির আন্দোলন উল্লেখ করে সাংবাদিক সোহেল বাদশা বলেন,নোয়াখালী বিভাগ ঘোষণার যৌক্তিকতা আজ আর ব্যাখ্যার অপেক্ষা রাখে না। জনগণের দাবি স্পষ্ট- কুমিল্লা নয়,চাই নোয়াখালী বিভাগ। যদি এই দাবি উপেক্ষিত হয়, তাহলে নোয়াখালীবাসী কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান,অবিলম্বে নোয়াখালীকে স্বতন্ত্র বিভাগ ঘোষণা করার মাধ্যমে জনগণের দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও ক্ষোভের অবসান ঘটাতে হবে।