

জহিরুল ইসলাম ঝিকরগাছা যশোর প্রতিনিধি :যশোরের ঝিকরগাছায় ভ্যানচালক মাসুম বিল্লাল ওরফে মাসুদ রানা হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত তিন আসামিকে গ্রেফতার এবং নিহতের ব্যাটারিচালিত ভ্যানগাড়িটি উদ্ধার করেছে ঝিকরগাছা থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে গ্রেফতার আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন: শার্শার উলশী গ্রামের বাসিন্দা ও সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার যুগিপুকুর গ্রামের সোহরাব সরদারের ছেলে কামরুজ্জামান সরদার ওরফে কামরুল, একই গ্রামের শরিফুল ইসলাম ও কামরুজ্জামান সরদার ওরফে কামরুল।ঝিকরগাছা থানার ওসি নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, গত ৬ অক্টোবর সকালে ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে মাসুম বিল্লাল নিখোঁজ হন। পরদিন তার বাবা আজিজ খান শার্শা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে ঝিকরগাছা উপজেলার বায়শা গ্রামের প্রবাসী রবিউল ইসলামের নির্মাণাধীন বাড়ির জানালার গ্রিলে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় অর্ধগলিত একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের পরনে থাকা পোশাক, গলায় ফিতা দড়ি এবং মুখে ঢোকানো ভ্যান পরিষ্কারের কাপড় দেখে মাসুমের বাবা মরদেহ শনাক্ত করেন। নিহতের বাবা আজিজ খান বাদী হয়ে ঝিকরগাছা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। নাভারন সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আরিফ হোসেনের তত্ত্বাবধানে মামলার তদন্ত শুরু করেন ঝিকরগাছা থানার ওসি (তদন্ত) মো. আবু সাঈদ।
ওসি জানান, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার (২২ অক্টোবর) গভীর রাতে শার্শা উপজেলার উলশী এলাকা থেকে আলী হাসান (২৫) নামে একজনকে গ্রেফতার করে। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পাটকেলঘাটার যুগিপুকুরিয়া গ্রাম থেকে শরিফুল ইসলাম ও কামরুজ্জামান সরদার ওরফে কামরুল নামে আরও দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। পূর্বপরিকল্পিতভাবে শার্শার উলশী বাজার থেকে মাসুম বিল্লালের ভ্যানে ওঠেন। পরে ঝিকরগাছার বায়শা গ্রামের পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে ভ্যান পরিষ্কারের কাপড় দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মাসুমকে হত্যা করেন এবং মরদেহ জানালার গ্রিলে ঝুলিয়ে রেখে ভ্যানগাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান। পরদিন আসামিরা ভ্যানটি বিক্রি করেন। শরিফুল ইসলাম ১৭ হাজার টাকায় ভ্যানটি কিনে নেন এবং পরে কামরুজ্জামান সরদারের কাছে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।