মো:তারিকুর রহমান চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি :জীবননগরের উথলীতে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত দুই ভায়ের পরিবারের সার্বিক খোঁজ খবর নিলেন ও বর্ষার প্রবল স্রোতে ভেঙ্গে পড়া ৪ টি ব্রীজ পরিদর্শন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিজিএমই এর সভাপতি মাহমুদ হাসান খাঁন বাবু। শনিবার বেলা সাড়ে ১০ টায় দলীয় নেতাকর্মী সাথে নিয়ে সরজমিনে নিহত হামজা ও মিন্টার বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সাথে দেখা করেন ও সার্বিক খোঁজ খবর নেন তিনি।
এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি বাবু খাঁন বলেন,অপরাধীর কোন দল,ধর্ম,বর্ণ থাকে না। এই ঘটনার সাথে জড়িতরা যদি বিএনপির কোনো পদে থাকে এবং দোষী প্রমানিত হয় তাহলে আমাদের প্রথম কাজ হবে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা। এই পরিবার যেন ন্যায় বিচার পাই সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এই ন্যায় বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি বা নেতা বাধা সৃষ্টি করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল একটি শান্তি প্রিয় দল এখানে কোনো সন্ত্রাসীবা দুষ্কৃতকারীর জায়গা নাই।পরে সন্তোসপুর,মনোহরপুর, সিংনগর ও উথলী গ্রামে ভেঙে যাওয়া ৪ টি ব্রীজ পরিদর্শন করেন তিনি। ব্রীজ পরিদর্শন কালে তিনি বলেন, অতি বৃষ্টিতে এখানে মোট চারটি ব্রীজ ভেঙ্গে পড়েছে। মানুষের যাতায়াত ও মালামাল আনা নেওয়া খুব কষ্ট হচ্ছে। আমরা প্রশাসনের সাথে কাজ করছি কিভাবে এখানে নতুন ব্রীজ নির্মাণ বা মেরামত করা যায়।
নির্বাচনের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এখানে নির্বাচন করবো না এমন বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু বলেনি।আবার নির্বাচন করবো এই বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না দল যদি আমাকে নমিনেশন না দেয়। এই বিষয় নিয়ে প্রতিপক্ষের কিছু লোকজন অতি উৎসাহিত হয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছে।এগুলোর বিষয়ে কান না দেওয়ায় ভালো।বিজিএমইএ’র সভাপতি হওয়ার পর বাড়তি কিছু দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। দল যদি মনোনয়ন দেয় তাহলে আমি অবশ্যই চুয়াডাঙ্গা-২ আসন থেকে নির্বাচন করবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ,সাংগঠনিক সম্পাদক আলতাফ হোসেন, উথলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম রেজা, সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দীন জাহিদ, জীবননগর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক জিল্লুর রহমান, ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক নাজমুল হুসাইন, সদস্য সচিব আরমান আলী, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি অমিত খান, সাধারণ সম্পাদক রানা আহম্মেদ সহ অনেকে।