সাজ্জাদ হোসাইন শাহীন-জামালপুর প্রতিনিধিঃ জামালপুরের মেলান্দহ ঝাউগড়া ইউনিয়নের ইন্দ্রবাড়ীতে পুত্রবধুকে কু-প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনা কিছু অসৎ মাতুব্বর ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
ভুক্তভোগী গৃহবধু মাজিদা খাতুন ইন্দ্রবাড়ী এলাকার মাফিজুলের স্ত্রী ও গাজীপুর বোর্ডবাজার এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় গৃহবধূ মজিদা খাতুন মেলান্দহ থানায় ৫ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।অভিযুক্তরা হলেন- অভিযুক্ত শশুর আব্বাস আলী ফকির (৫৫),স্বামী মাফিজুল ইসলাম (৩০) হরিনাপাই এলাকার আব্দুল খালেক,শাশুড়ী মনিরা বেগম( ৪৮) ও ইন্দ্রবাড়ী এলাকার সাবেক মেম্বার আবুল কাশেম।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ৪ বছর পূর্বে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক আব্বাসের ছেলে মাফিজুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই লস্পট শশুর অশালীন কথা বলতো।কুপ্রস্তাব দিতো।রাজি না হওয়ায় শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করতো। মোবাইল ফোনে কথা বললে তখনও খারাপ কথা বলতো।গৃহবধূ স্বামী মাফিজুলকে বিষয়টি জানালে সেও কুপ্রস্তাবে রাজি হতে বলে।রাজি না হলে ৭ লাখ টাকা দাবি করে।অভিযুক্ত আব্দুল খালেক কে বিষয়টি জানালে সেও শশুরের কুপ্রস্তাবে রাজি হতে বলে।গত ১১ এপ্রিল মিমাংসার কথা বলে সালিশ বৈঠকে জোরপূর্বক তালাকনামায় সই নিয়ে খোলা তালাক করায়। সালিশ বৈঠকের প্রধান আবুল কাশেম মেম্বার খরচ বাবদ ২০ হাজার টাকা নেন।
এঘটনায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় বয়ছে।স্থানীয় লোকজন জানান, আব্বাস ফকির লম্পট প্রকৃতির লোক।আগেও এমন ন্যাক্বারজনক ঘটনা এলাকায় ঘটিয়েছে। বিভিন্ন সময় বিচার করা হয়েছে। সর্বশেষ পুত্রবধুর সাথে এমন ঘটনায় এলাকাবাসী তার শাস্তি দাবি করেন। কাশেম মেম্বার নামে এক মাতুব্বর এ ঘটনা দামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। সালিশ বৈঠকে খরচের নামে মেয়ের নিকট থেকে কাশেম মেম্বার ২০ হাজার টাকা নেওয়ায় তীব্র নিন্দা জানান এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্বাস বলেন,আমি সাধু না।ভুল থাকতে পারে। তবে যে ঘটনা ছড়াচ্ছে এটা মিথ্যা।স্বামী মাফিজুলের সাথে যোগাযোগ করতে বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি।
সালিশ বৈঠকের মাতুব্বর ও আওয়ামীলীগ নেতা কাশেম মেম্বার জানান,আব্বাসের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে শুনেছি।সালিশ বৈঠকে ছিলাম। তবে আমার বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার যে অভিযোগ করেছে সেটা ঠিক নয়।মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।