মিয়ানমারের রাখাইনে তাদের ধর্মীয় উৎসব মহাসাংগ্রেইয়েও থেমে নেই চোরাকারবার। নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে এ পাড়ের চোরাকারবারিরাও এ কারণে ছুটির অবসরে নেই।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে ১০ হাজার ইয়াবাসহ ২ পাচারকারীকে আটক করে ককসবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সানোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালিত দলটি স্থানীয় সোনাইছড়ির ঘনগাছ (শিশুগাছ) তলা নামক এলাকার জমিউছিন মার্মার বাড়ি থেকে এ সব জব্দ করেন। একই সাথে দুই কারবারিকে আটক করেন তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সানোয়ার হোসেন।
সূত্র মতে, আটক দুজন হল,মংছেন মার্মা (২৫)। সে ইউনিয়নের ক্যাং পাড়ার মৃত বিমল মার্মার ছেলে।
অপরজন, জুমিউছেন মার্মা (১৯)। এ যুবক একই এলাকার মংছিন থোয়ািন মার্মার ছেলে।
স্থানীয় সূত্র গুলো জানান,বর্তমানে সোনাইছড়ি ইউনিয়ন এলাকাটি ককসবাজারে ইয়াবা সরবরাহের জোন।
মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে কয়েকজন জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বে এ ইয়াবাকান্ড চলে।
এখানে এখনও বিভিন্ন দল ও মতের যুবকরা ইয়াবায় জড়িয়ে মটরবাইক চালক থেকে কোটি টাকার মালিক বনে যাচ্ছে। তারা সব কিছু ম্যানেজ করে এ সব করছে বলে অভিযোগ দীর্ঘ দিনের।
এদিকে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের ইয়াবা আটকের বিষয়টি স্বীকার করে সোনাইছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কামরুল ইসলাম জানান,সোমবার বিকেলে তারা এ সব ইয়াবা জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।