
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে পৌর এলাকার শিমরাইলকান্দি এলাকায় সরকারি খাস খতিয়ানের জায়গা দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মুক্তা গোস্বামী ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে পাকা স্থাপনার কিছু অংশ গুড়িয়ে দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর থেকে বিজয়নগর উপজেলার সংযোগকারী সড়ক (সীমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সড়কের শিমরাইলকান্দি এলাকার তিতাস নদীর প্রথম সেতু সংলগ্ন উত্তরদিকে তিন শতক জায়গা দখল করে শিমরাইলকান্দির ইট বালুর ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান ভূইয়া পাকা স্থাপনা নির্মাণকাজ শুরু করেন। সেখানে তিনি ছয়টি দোকান নির্মাণ করছিলেন। বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয়দের মাঝে আলোচনা-সমালোচনা চলছিল।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মুক্তা গোস্বামী সেখানে অভিযান চালিয়ে পাকা স্থাপনার লিংটারসহ দেয়ালের কিছু অংশ ভেঙে গুড়িয়ে দেন।
পাকা স্থাপনা নির্মাণকারী হাবিবুর রহমান ভূইয়ার পক্ষে ভাতিজা দানু ভূইয়া জায়গটি রেল বিভাগ থেকে ইজারা নেয়া হয়েছে বলে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মুক্তা গোস্বামীকে জানান। জায়গাটি বিএস জরিপে সরকারি খাস খতিয়ান ভূক্ত বলে দখলকারীদের জানানো হয়।
পরে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মুক্তা গোস্বামী দখলকারীরর আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থাপনা সরাতে দানু ভূইয়াকে একদিনের সময় দেন। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় সদর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের লোকজন ও সদর থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মুক্তা গোস্বামী বলেন, বিএস ৫৭ দাগে এটি সরকারি ১ নম্বর খাস খতিয়ানভূক্ত খালের জায়গা। তারা যে জায়গা রেল থেকে ইজারা নিয়েছেন এটি সেই জায়গা নয়। তারা দাগ নম্বর ভুল করে সেখানে স্থাপনা নির্মাণ করছেন স্বীকার করে সময়ের আবেদন করেছেন। তাই স্থাপনা সরাতে একদিনের সময় দেয়া হয়েছে। স্থাপনা না সরালে পুনরায় অভিযান চালিয়ে সব গুড়িয়ে দেয়া হবে।