
নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলায় এক যুবতীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।জানা যায়,আত্মহত্যাকারী যুবতী মোছাঃ তানিয়া সুলতানা রিতু(১৯) উপজেলার পাঁচুপুর ইউনিয়নের খনজোর গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলামের মেয়ে।সে একজন শিক্ষার্থী,বর্তমানে সে অনার্স ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
একই উপজেলার বিশা ইউনিয়নের অন্তর্গত ইসলামগাতী গ্রামের মানিক চন্দ্র প্রামাণিকের ছেলে শ্রীঃ মোহন চন্দ্র প্রামানিক (৩৫) এর সাথে নবম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত অবস্থায় মোহন এর কাছে প্রাইভেট পড়ার সূত্রে দুজনের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মোহন চন্দ্র বর্তমানে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক আত্রাই শাখায় কর্মরত। তাদের অস্বাভাবিক প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক ভাবে অশান্তি বিরাজ করছিল। এমনকি তারা দুজন গতকাল ও দেখা করেছিল বলে জানা যায়।
বিষয়টি নিয়ে, রিতুর পরিবারে চরম অশান্তি বিরাজ করছিল। রিতুর মা গতরাতে মেয়ের সাথে একই ঘরে ছিলেন। শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল ছয়টার সময় সংসারের কাজকর্মের জন্য রিতুর মা ঘর থেকে বের হয়। তার কিছুক্ষণ পরেই রিতু ঘরের দরজা আটকিয়ে দেয়। অনেক ডাকাডাকির পরও কোন সাড়া না পাওয়ায়, রিতুর বাবা সহ অনেকেই ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে দেখতে পায়, রিতু ঘরের ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে।মেয়ের ঝুলন্ত লাশ দেখে রিতুর বাবা-মা শোকে বাকরুদ্ধ হয়ে যায় ।রিতুর মৃত্যুতে এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।রিতুর এ ধরনের মৃত্যু তার প্রতিবেশী ও গ্রামবাসী বিশ্বাস করতে পারছে না।
এ বিষয়ে আত্রাই থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) শাহাবুদ্দিন বলেন, আমাদের কাছে খবর আসা মাত্র আমরা ঘটনাস্থলে যেয়ে লাশ উদ্ধার করি এবং ময়না- তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করি।সেই সাথে অভিযুক্ত ছেলে (মোহন) আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা রেকর্ড করা হয়।আসামীকে দ্রুত গ্রেফতারের পর আদালতে প্রেরণ করা হয়।সেই সাথে তিনি আরও বলেন,আমরা প্রাথমিক ভাবে জানতে পারি মোহন মেয়েটির গৃহশিক্ষক হিসাবে দীর্ঘ দিন যাবৎ প্রাইভেট পড়াইতেন আর সেখান থেকে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।সে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মেয়েটিকে বিয়ে করতো চায়।তবে মোহন কথা দিয়ে কথা না রাখায় মেয়েটি রাগে ক্ষোভে আত্মহত্যা করে।ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলে আমরা আপনাদের মেয়েটির আত্মহত্যার আসল রহস্য আপনাদের জানাতে পারবো।