
নড়াইলের কালিয়ায় ফরিদ মোল্যা (৫৭) নামের একজনকে হত্যার জেরে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে ভাঙচুর, লুটপাট ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হুমকিতে এলাকা ছাড়া প্রতিপক্ষের লোকজন। আতঙ্কে দিন কাটছে বাড়ির মহিলাদের। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালিয়া উপজেলার বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে মিলন মোল্যা গ্রুপ ও আততাফ মোল্যা গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে হত্যার শিকার হন একই গ্রামের আততাফ মোল্যা গ্রুপের ফরিদ মোল্যা। পরে আততাফ মোল্যা গ্রুপের লোকজন দফায় দফায় মিলন মোল্যার পক্ষের ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও মালামাল লুটপাটও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিপক্ষের লোকজন ভয়ে বাড়িতে থাকতে পারছে না। হত্যাকাণ্ডের দিন রাতে ২০/২৫ টি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। কাঞ্চনপুর গ্রামের আজগর মোল্যার মেয়ে অনামিকা বলেন, ফরিদ মোল্যা মার্ডারের পরে তাদের গ্রুপের লোকজন আমাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। বাবরা-হাচলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক পিকুলের বাড়ি ভাংচুর করে লুটপাট করে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। ওরা সাহেব মোল্যা, ইকবাল মোল্যা, কামরুল কাজি, কামাল কাজি, মোস্তাক শেখ, বুলু শেখ, খালিদ শেখ, জামির মল্লিক, জনি মল্লিক, কালু শেখের বাড়িসহ ২০/২৫ টি বাড়ি ভাংচুর, লুটপাট করে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। এখনো হুমকি দেচ্ছে, আমরা আতঙ্কে আছি, বাড়িঘরে থাকতে পারতেছি না। মিলন মোল্যার পুত্রবধূ ডলি বেগম বলেন, আমরা হুমকির মধ্যে আছি, আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি কাল রাত থেকে না খেয়ে আছি। ওরা আমাদের পক্ষের অনেকের বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট করে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। যে বাড়ি গুলা বাকি আছে সেগুলাও ভাংচুর, লুটপাটের হুমকি দিচ্ছে। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আততাফ মোল্যা বলেন, ওদের বাড়ির মালজিনিস ওরাসহ ওদের আত্মীয়-স্বজনরা নিয়ে গেছে শুনেছি আর বাড়িঘর কারা ভাংচুর করেছে, আগুন দিয়েছে সেটা আমার জানা নেই। সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়া সার্কেল) কিশোর রায় বলেন, ওখানে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা রুখতে পুলিশ বাহিনী প্রস্তুত আছে এবং দোষীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।