
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি ঃ বরগুনার আমতলীতে একটি চক্র টাকা দাবি করে এক যুবককে জোর করে মটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়রানিমূলক মামলা, হামলা ও মোবাইল ফোনে
মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। এর বিচার চেয়ে আমতলী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলার ঘটখালী গ্রামের মো. দুলাল আকনের ছেলে মো. রুবেল আকন।আমতলী থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মো. রুবেল আকনের কাছে কলাপাড়া উপজেলার বৌদ্ধপাড়া গ্রামের আব্বাস হাওলাদার (৪৩) ও আমতলী উপজেলার নাসির প্যাদা কোনো কারণ ছাড়াই ২০ লাখ টাকা দাবি করেন।এই বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ০৬ এপ্রিল দুপুর দেড়টায় আব্বাস হাওলাদার, নাসির প্যাদাসহ ১০/১২ জন মটরসাইকেল নিয়ে রুবেল আকনের বাড়ীর সামনে গিয়ে তার কাছে ২০ লাখ টাকা দাবি করে। এরপর রুবেলকে জোরপূর্বক মটরসাইকেলে তুলে আমতলী থানার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি মটরসাইকেল থেকে লাফ দিয়ে থানার মধ্যে দৌড়ে গেলে
আব্বাস হাওলাদার, নাসির প্যাদা ও তাদের সাখে লোকজন চলে যায়।একই দিন বিকালে আব্বাস হাওলাদার, নাসির প্যাদা ও তাদের সাখে লোকজন রুবেল আকনের বাড়িতে গিয়া পুনরায় ২০ লাখ টাকা দাবি করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। প্রতিবাদ
করলে বিবাদীগণ খুন জখম করার জন্য, লাঠিসোটা নিয়ে এগিয়ে আসলে রুবেল প্রাণের ভয়ে ডাক চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন আসায় আব্বাস হাওলাদার ও তার লোকজন ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।মো. রুবেল আকন বলেন, আমার কাছে কিসের টাকা পাবে তা আমি জানিনা। তাদের একটি চক্র হঠাৎ করে আমার কাছে ২০ লাখ টাকা দাবি করে। তাদের কাজ হচ্ছে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করা। আমার সাথে তারা যে ঘটনা ঘটাইছে আমি তার বিচার চাই। এ ঘটনার বিচার চেয়ে রুবেল আকন ১০ এপ্রিল রাতে আমতলী থানায় মো. আব্বাস হাওলাদার, নাসির প্যাদাসহ অজ্ঞাত ১০/১২জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।এ বিষয় আব্বাস হাওলাদার ও নাসির প্যাদার সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, অভিযোগ তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।