
চুয়াডাঙ্গা স্টাফ রিপোর্টার;চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন বেগমপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামের নাম আকন্দবাড়িয়া। এ গ্রামের বটতলা বাজারের রয়েছে কামরুল ট্রেডার্স নামে একটি সার-কিটনাশক ব্যবসা। এই সারের দোকানে তার ছেলেকে এবং তার ছোট ভাই মুরাদকে বসিয়ে ফোনের মাধ্যমে স্বর্ণ পাচার, ফেনসিডিল, গাঁজা পাচার সহ হুন্ডির ব্যবসা করে থাকে।
এখানে কি শুধু সার-কিটনাশক ব্যাবসা হয় নাকি এ ব্যাবসার আড়ালে রয়েছে অন্য কিছুর ব্যবসা। এমন প্রশ্ন গ্রামের অনেক মানুষের মনে। কামরুল ট্রেডার্সের মালিক কামরুল হাসান। তিনি একই গ্রামের মাঝপাড়ার হকের ছেলে। বজলু হকের ৭ ছেলের মধ্যে বড় ছেলে আনারুল ইসলাম ও সেজো ছেলে আবুল বাশার পাপ্পু কুখ্যাত মাদক ব্যাবসায়ী। এ কুখ্যাত মাদক ব্যাবসায়ীর একজন আনারুল ইসলাম হয়েছে এলাকা ছাড়া, আর পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে সেজো ছেলে আবুল বাশার পাপ্পু। তবে মেজো ছেলে গ্রামের আকন্দাড়িয়া বটতলা বাজারে বসে কামরুল ট্রেডার্স নামের সার-কিটনাশক ব্যবসার আড়ালে চলছে মাদক ব্যাবসা। এ মাদক ব্যবসায় রয়েছে কামরুল হাসানের সাথে ছোট ভাই মুরাদ, স্ত্রী ও ছেলে। এরা মাদক ব্যাবসায়ীদের কাছ হতে টাকা জোগার করে তা বিভিন্ন পন্থায় ভারত পাচার করে থাকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্রামের একাধিক ব্যাক্তি জানান, কামরুল হাসানের বড় ভাই আনারুল ইসলাম ও সেজো ভাই আবুল বাশার পাপ্পু কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী। তাদের মধ্যে আনারুল ইসলাম গ্রাম ছেড়ে অন্যত্রে বসবাস করছে ও আবুল বাশার পাপ্পু পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে গুলি বৃদ্ধ হয়ে নিহত হয়। তবে আনারুল এলাকা ছাড়া ও আবুল বাশার পাপ্পু পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে মৃত্যু বরণ করলেও নিজের সার-
বজলুকে এই কামরুল
কিটনাশক ব্যবসার আড়ালে মাদক ব্যবসা করেন কামরুল হাসান। সেজো ভাই আবুল বাশার পাস্তুর গড়ে দেওয়া মাদক ব্যবসার টাকা ভারত পাচারের দেখিয়ে দেওয়া পথ ধরে এখনো চলছে মেজো ভাই কামরুল হাসান। এ ব্যবসার সাথে কামরুল হাসানের সাথে ব্যাবসায়ী পার্টনার হিসাবে ছোট ভাই মুরাদ হাসানকে সঙ্গী করে দেয়। সেই থেকে চলে আসছে মাদক ব্যাবসা ও টাকা ভারত পাচার। এ টাকা পাচার কাজে এখন আর দুই ভাই নেই, এ মাদক ব্যাবসা ও মাদকের টাকা পাচার কাজে যোগ হয়েছে কামরুল হাসানের স্ত্রী ও সন্তান। তারা মাদক ব্যবসায়ীদের টাকা নিজেদের কড়ায় নিয়ে তা ব্যাংকের মাধ্যমে সিসি করে একটি একাউন্টে। তবে ১ বা ২ লাখ টাকা নয়। সপ্তাহের প্রায় ৭ দিনই এ টাকা ব্যাংকে সিসি করা হয়ে থাকে। তবে তারা আরো জানায়, এ আকন্দবাড়িয়া বটতলা বাজারে সার-কিটনাশক ব্যবসায় কত টাকার মালামাল বিক্রি হয় আর কত টাকা ব্যাংক সিসি হয়। এ টাকা সিসি কোথায় হয়, কত টাকা। সুত্রে আরো জানায়, এতদ্বা অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীরা ভারত হতে মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল দেশে নিয়ে আসে, দেশে নিয়ে আসা মাদকের টাকা দিয়ে থাকে আকন্দবাড়িয়া বটতলা বাজারের সার-কিটনাশক ব্যবসায়ী কামরুল ট্রেডার্সে। এ ব্যাবসায়ী জোগারকৃত টাকা ব্যাংক সহ বিভিন্ন পন্থায় ভারত পাচার করে থাকে। এ টাকা পাচারের ফলে লাভ পেয়ে থাকে একটা কমিশন। এই মাদক ব্যবসায়ি খুবই চালাক এবং সন্রাসি।তার কাছে কে কে মাল দিয়ে যায় নিয়ে যায় সেই জন্য দোকানে এবং বাসায় সিসি ক্যামেরা লাগাইছে। এত বেশি হুন্ডির টাকা লেনদেন হয় সেটা এলাকা বাসি জানে।পুলিশ বিজিবির, ডিবির চাপাচাপি বেশি হলে তার এক কুটুম আছে সাংবাদিক। তাহাকে ফোন দিয়ে বাসায় রাখে কয়েক দিন।অবস্থা শিথিল হলে তারপরে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।কিছুদিন আগে অনেকগুলো পত্রিকায় এই মাদক ব্যবসায়ী কামরুল, ওয়ারিদ এবং মুরাদের বিরুদ্ধে নিউজ হলে তার এক আত্মীয় কে নিয়ে এসপি অফিসে গিয়ে প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে মাদক ব্যবসায়ী, হুন্ডি ব্যবসায়ী, অস্ত্র ব্যবসায়ীর নাম কাটায়। কিছুদিন বন্ধ থাকার পরে আবারও চালিয়ে যাচ্ছে কামরুল গং তাদের সিন্ডিকেটের ব্যবসা। কামরুল স্ত্রী রেবেকা খাতুন এলাকার হুন্ডির টাকা বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিয়ে আসে। এবং সোনালী ব্যাংকের বিশেষ শাখায় পাচার করে আসে।এগুলো এলাকাবাসী সবাই জানে। এ ব্যাপারে সাংবাদিকরা কিছু জিজ্ঞাসা করতে গেলে তাদের মামলার হুমকি দেয়। সূত্র আরো জানায়, মাদকের লেনদেন ভারতের মহাজনদের সাথে এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের হয়ে থাকে। তবে মাদকের টাকা লেনদেন হয়ে থাকে কামরুলের মাধ্যমে। যার ফলে সার-ব্যবসার আড়ালে কামরুলের মাদক ব্যবসা এখন রমরমা। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে গ্রামের সচেতন মহল।