
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পুত্রবধূর সাথে ঝগড়ার জের ধরে বয়োবৃদ্ধ রণাঞ্জন রায় রোনা (৭০) গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার দুপুরে নিহতের লাশ ডহরনগর ফাঁড়ির ইনচার্জ মধুসূদন পান্ডে উদ্ধার করে সুরতহাল করেন। এসময় তিনি নিহত লাশের শরীরে কোন প্রকার দৃশ্যমান আঘাতের চিহ্ন দেখেননি বলে নিশ্চিত করেন। পরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহমুদুল হাসান লাশটি পোস্টমর্টেম করার জন্য ফরিদপুর পাঠান।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের বিল-তামারহাজী গ্রামের বাসিন্দা রণাঞ্জন রায় রোনা তার পুত্র তুষার রায়ের স্ত্রী তাপসীর সাথে বৃহস্পতিবার বিকেলে পিয়াজ ও খাবার দেয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। বৃহস্পতিবার রাতে বৃষ্টির সময় পরিবারের লোকজন ওই বয়োবৃদ্ধকে খোঁজ করেন। পরে ওই রাতই ১০টার দিকে বাড়ির পাশে ছোট একটি আম গাছের সাথে গালায় দঁড়ি নিয়ে ঝুলে থাকাতে দেখে পরিবারের লোকজন।
নিহতের ধর্ম শ্বাশুড়ি বলেন, “ভাত রান্দে নাই কইছে, তার পরে ওর বিটার বউ তাপসী বটির আছাড়ি দিয়ে ব্যাড়ইছে বিটা ডারে । পরে রাগ করে গলায় দঁড়ি নিয়ে মরে গেছে। ওর বিটার বউরে পুলিশ ধইরে নিয়ে যাক।”
নিহতের পু্ত্রবধূ তাপসী রায় বলেন, আমার শ্বশুরের মাথায় ও পেটে সমস্যা ছিল। তিনি শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তবে ওই দিন রান্না করতে দেরি হওয়ার কারণে আমার সাথে তার কথা-কাটাকাটি হয়। পরে তিনি এ ঘটনা ঘটায়।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে শুক্রবার ডহরনগর ফাঁড়ির পুলিশকে ঘটনা স্থলে পাঠানো হয়। লাশ সুরতহাল করে ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।