
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার সাহেববাড়ি বৈশাখী মেলার শুরু আগেই প্রকাশ্য মাদকসেবন ও বিক্রি হচ্ছে । তবে উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন এসব মাদক সেবন ও বেচাকেনার বিষয় জেনেও নিরব রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন সচেতন নাগরিকেরা।
উপজেলার দুরমুট সাহেববাড়ি এলাকায় পীর ও সাধক হযরত শাহ কামাল (রহ) ইয়েমেনীর মাজার অবস্থিত। এই মাজারকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর বৈশাখ মাসের প্রথম দিন থেকেই মাস ব্যাপী বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। মেলাকে কেন্দ্র করেই মাজারে এক কিলোমিটার আশপাশে বসে গাঁজার দোকান। এসব দোকানে প্রকাশ্যে গাঁজা বিক্রি ও সেবন করে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, দুরমুট সাহেববাড়ি এলাকায় হযরত শাহ কামাল ইয়ামেনী (রহঃ) এর মাজারের পাশে সাহেববাড়ি মাঠে গাঁজার দোকান বসতে শুরু করেছে । এই মাজারকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর বৈশাখ মাসে মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। মেলাকে কেন্দ্র করেই মাজারের আশপাশে বসে বিভিন্ন গাজাঁর দোকান। মেলায় আসা ভক্তদের দোকানে প্রকাশ্যে বিক্রি হয় গাঁজা। এবারও মেলায় ভক্তরা আসতে শুরু করেছে। প্রকাশ্যে গাঁজা বিক্রি ও সেবন করতে দেখা গেছে। উঠতি বয়সী যুবক ও গ্রামের গাঁজাখোরদের আনাগোনা লক্ষ করা গেছে।
স্থানীয়রা জানান বহু বছর ধরে এই মেলা চলে আসছে, তবে আগে মেলায় পাগলাদের সমাগম হইতো না। এখন মেলার শুরু না হতে মেলায় বিভিন্ন জায়গা থেকে পাগলরা এসে এই জায়গায় আস্তানা করে।মেলা শুরু হলে এই জায়গায় প্রতিদিন রাতে প্রায় পাঁচশ আসর বসবে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই প্রকৃত পাগল নয়। দূরদূরান্ত থেকে যেগুলো আসে সেগুলা ব্যবসা-বাণিজ্য করতেই আসে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ছাত্রনেতা বলেন,এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে মেলা শুরু হবে। মেলা শুরুর আগেই বেশধারী পাগলরা এসে জড়ো হতে শুরু করেছে । আস্তানায় প্রকাশ্যে মাদকসেবন ও বিক্রি হলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা।এই ইউনিয়নের দায়িত্বরত বিট পুলিশের কর্মকর্তা যিনি রয়েছেন তিনি দায় এড়াতে পারেনা। তার বিট এলাকায় মাদক বিক্রি ও সেবন চললেও তিনি কোন খোঁজ রাখেননি।
দুরমুট ইউনিয়ন বিট পুলিশের কর্মকর্তা ও মেলান্দহ থানার উপ-পরিদর্শক তারিকুল ইসলাম হিমনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন রিসিভ করেননি।