ঢাকা, সোমবার, ১৪ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
নড়াইলে বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা
মোরেলগঞ্জে বর্ণিল আয়োজনে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা
নানা আয়োজনে ফরিদপুরে বাংলা বর্ষবরণ
নাটোরে সরিষার তেলের মিলে বিএসটিআই’র অভিযান : মামলা ও জরিমানা
অসময়ে ব্রহ্মপুত্র ন‌দের তীব্র ভাঙ‌ন
আনন্দ শোভাযাত্রা ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা বলয়
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ৯ চোরাচালান শ্রমিককে আটক করেছে বিজিবি
সরকারি জায়গায় প্রভাবশালীর ৬ পাকাস্থাপনা দোকান নির্মান, আংশিক উচ্ছেদ ভ্রাম্যমান আদালত
তানোরে শীষ মোহাম্মদের কবর জেয়ারত করলেন এমপি প্রার্থী সুলতানুল ইসলাম তারেক
নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে:- চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত
পাঁচবিবিতে হাকিম মণ্ডলকে অবমাননার প্রতিবাদে মানববন্ধন
যাত্রাবাড়ীতে ১০৫০০ ইয়াবাসহ আটক ৪
ফের ডিএনসির ঢাকা মেট্রো উত্তর কার্যালয়ের এডির দায়িত্বে মেহেদী হাসান
এসএমপি ও চাঁদপুরে অনলাইনে সকল ধরনের জিডি সেবা চালু: হেডকোয়ার্টার্স
কু‌ড়িগ্রা‌মে এক ব্যবসায়ীর আড়াই লাখ টাকা ছিনতাই‌য়ের অ‌ভি‌যোগ

বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি যুবক হত্যার ঘটনায় ইসলামী যুব আন্দোলনের তীব্র নিন্দা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বিরুদ্ধে। মুরাদুর রহমান মুন্না (২৮) নামে এক বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে মারধর করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদ ও সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকী এক বিবৃতিতে বলেন, ৯ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার সেজামুড়া সীমান্তের অধিবাসী বাংলাদেশি যুবক মুরাদুর রহমান মুন্না নামে এক বাংলাদেশি যুবককে অন্যায়ভাবে ধরে নিয়ে পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করার ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বাংলাদেশ সীমান্তে অন্যায়ভাবে বাংলাদেশিদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করে এবং ধরে নিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোটোয় নিয়ে আসার জন্য ভারত বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও অন্যায় হত্যাকাণ্ড ক্রমাগতভাবেই বাড়ছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার ঘটনা বারবার ঘটলেও একটি হত্যাকাণ্ডেরও তদন্ত ও বিচারকাজ সম্পন্ন হয়নি। বাংলাদেশের বিজিবির সঙ্গে ভারতীয় বিএসএফের একাধিক বৈঠকের পরেও সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা ও নির্যাতন কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না।

নিহত মুরাদুর রহমান মুন্নার পরিবার জানিয়েছে যে, সীমান্ত এলাকায় তার কৃষি জমি দেখতে গেলে ভারতীয় বিএসএফ বাহিনীর কয়েকজন তাকে বিনা কারণে ধরে নিয়ে বেদমভাবে পিটিয়ে আহত করে বাংলাদেশ সীমান্তে ফেলে রেখে চলে যায়। বিজিবির টহলরত সদস্যরা মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে তুলে এনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নেতৃদ্বয় আরও বলেন, বিনা কারণে বিএসএফ তাকে ধরে নিয়ে ঠান্ডা মাথায় পিটিয়ে হত্যা করা যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও কূটনৈতিক রীতিনীতির চরম লঙ্ঘন করেছে। ভারতীয় বিএসএফের এমন আগ্রাসী আচরণে বাংলাদেশের জনগণ মারাত্মকভাবে ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। বিএসএফের এ ধরনের আচরণই প্রমাণ করে যে, ভারত বাংলাদেশের সাথে সুসম্পর্ক চায় না।

নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সব সময়ই প্রতিবেশীদের কাছে বন্ধুসুলভ আচরণ কামনা করে। আমরা আশা করব ভারত সরকার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অনাকাঙ্ক্ষিত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করবে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সকল বাংলাদেশি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার জাতিসংঘের অধীনে আন্তর্জাতিক তদন্ত ও বিচার দাবি করছি। আমরা বাংলাদেশি নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করার লক্ষ্যে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

শেয়ার করুনঃ