
ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির তেজগাঁও থানা পুলিশ। রাজধানীর বিমানবন্দর থানা এলাকা ও চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. হাসিব চৌধুরী (২৭) ও আতিক হোসেন ভূইয়া (২৯)।
গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে মোবাইল ফোনে ধারণ করা ধর্ষণের ভিডিও, পেনড্রাইভ, ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন (যার মধ্যে একাধিক নারীকে ধর্ষণের ভিডিও রয়েছে) এবং একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।
তেজগাঁও থানার বরাত দিয়ে তালেবুর রহমান বলেন, এক মাস আগে ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে ওই নারীর সঙ্গে পরিচয় হয় হাসিব চৌধুরীর। পরিচয় থেকে তাদের সম্পর্ক গড়ায় বন্ধুত্বে। গত ৪ এপ্রিল হাসিব তার ব্যবহৃত প্রাইভেটকারে করে তাকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়। প্রাইভেটকারে হাসিবের বন্ধু আতিকও ছিল। এরপর তারা বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই নারীকে জোরপূর্বক কোমল পানির সঙ্গে মদ মিশিয়ে পান করায়, ফলে কিছুটা অপ্রকৃতিস্থ হয়ে পড়ে। এরপর পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তেজগাঁও থানার শাহীনবাগ ইম্পেরিয়ান হোটেলের একটি কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে সারারাত সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে এবং মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। পরে সকালে তারা মেয়েটিকে কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচে ফেলে রেখে চলে যায়। এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়।
তিনি বলেন, মামলার পর অবস্থান শনাক্ত করে তেজগাঁও থানা পুলিশের একটি দল ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে। গত ৬ এপ্রিল ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর বিমানবন্দর থানা এলাকা থেকে আতিক হোসেন ভূইয়াকে ও গতকাল ৮ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকা থেকে হাসিব চৌধুরীকে গ্রেফতার করে।
তিনি বলেন, আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে আতিক হোসেন ভূইয়ার কাছ থেকে ধর্ষণের সময় তার মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ধর্ষণের ভিডিও, পেনড্রাইভ, ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন (যার মধ্যে একাধিক নারীকে তার ধর্ষণের ভিডিও রয়েছে) উদ্ধার করা হয়। মূল আসামি হাসিব চৌধুরী আদালতে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
ডিআই/এসকে