দক্ষিণাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) অবশেষে পাচ্ছে একটি বহুপ্রতীক্ষিত ‘মুক্তমঞ্চ’। প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ২৩ বছর পর শিক্ষার্থীদের এই চাহিদা পূরণে এগিয়ে এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল চর্চার পথ সুগম করতে তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছেন।
এতদিন পবিপ্রবি ক্যাম্পাসে কোনো নির্দিষ্ট উন্মুক্ত মঞ্চ না থাকায় শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটক, সংগীত ও আবৃত্তির মতো আয়োজনে নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতেন। আয়োজনের জন্য স্থানসংকট ছিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
উপাচার্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষার্থীদের শুধু পাঠ্যপুস্তকেই সীমাবদ্ধ রাখা নয়, তাদের সৃজনশীল বিকাশেও সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত। ‘মুক্তমঞ্চ’ হবে তাদের ভাবনা, মতামত এবং প্রতিভা প্রকাশের স্বাধীন প্ল্যাটফর্ম। এটি শুধু একটি অবকাঠামো নয়—একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন।”
তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর উপযুক্ত স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে এবং খুব শিগগিরই নির্মাণকাজ শুরু হবে। সংশ্লিষ্ট দফতরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম হেমায়েত জাহান, ট্রেজারার অধ্যাপক মোঃ আব্দুল লতিফ, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ ইকতিয়ার উদ্দিন, ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. মোঃ আমিনুল ইসলাম, উপাচার্যের দফতরের সহকারী রেজিস্ট্রার সুইন আহমেদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা, শিক্ষকরা ও সাবেক শিক্ষার্থীরাও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও বর্তমানে কৃষি অনুষদের সহকারী অধ্যাপক ড. সগিরুল ইসলাম মজুমদার, ড. মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ এর শিক্ষার্থী রাতুল বলেন, “মুক্তমঞ্চ আমাদের জন্য কেবল একটি স্থাপনা নয়, এটি আমাদের কণ্ঠস্বর। এখানে আমরা নিজেদের ভাবনা, প্রতিভা ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরার সুযোগ পাব।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই উদ্যোগ শুধু সাংস্কৃতিক চর্চাই নয়, বরং নেতৃত্ব বিকাশ, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও ক্যাম্পাসের সার্বিক প্রাণচাঞ্চল্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।