
নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
দুইটা কালভার্ট বদলে দিয়েছে নড়াইলের দশটি গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রার মান। জলাবদ্ধতা নিরসনে কয়েক বছর আগে নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়নের ডুংকুরিয়ার বিলের চারপাশে খাল খনন করা হয়। বিলের পানি নিস্কাশন ব্যবস্থার উন্নতি হলেও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যোগাযোগ ব্যবস্থা। পরর্বতিতে খালের উপর ছোট ছোট দুইটা কালভাট নির্মানের ফলে বিল এলাকার দশটি গ্রামের কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। সহজ হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। গতি এসেছে কৃষিকাজ আর মৎসচাষে। নড়াইলের এ অঞ্চলের কৃষকদের বহু বছরের দুঃখ ছিল ডুংকুরিয়ার বিলে জলবদ্ধতা। জলবদ্ধতা নিস্কাসনে বছর দুয়েক আগে খালকাটা হলেও মিল ছিল না সমাধান। প্রযোজন দেখা দেয় সেতুর। গেল অর্থ বছরে এলাকায় দুইটি কালভার্ট হওয়ায় বদলে গেছে এ এলাকার জীবনমান। এখানে নতুন করে বেড়েছে মৎস্য চাষ। এক ফসলের জমিতে ফলছে দুই ফসল। খাল দিয়ে বর্ষার পানি বের হয়ে যাওয়ায় ইউনিয়নের বন-খলিশাখালি, রুখালি, আকবপুর, চাকই, মধুরগাতি, বিছালি, রুন্দিয়া, হাটঘড়া, বড়াল চর-খলিশাখালি এই দশটি গ্রামের কৃষকদের মুখে এখন খুশির ঝিলিক। কৃষিকাজ আর মৎসচাষে গতি পেয়েছে এলাকার অথনীতির। একই সাথে এলাকায় হাজার হাজার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একমাত্র শ্মশানটি এই বিলের মধ্যে অবস্থিত। আগে মৃতদেহ নৌকায় নিয়ে শ্মশানে যাওয়ার ভোগান্তিও থাকলে এখন আর সেই সমস্যা নেই। আর এ কারনে খুশি এলাকাবাসী। বিছালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেমায়েত হোসেন ফারুক বলেন, কালভার্ট দুটি নির্মিত হওয়ায় এলাকার মানুষের উন্নতি হয়েছে। আর এ পরিকল্পনায় আমি অংশ নিতে পেরে খুশি। সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোসা. মেহেরুননেছা জানান, সরকারি ভাবে দুইটি কালভার্ট নির্মানের ফলে বিলের পাঁচ হাজার হেক্টর জমির ফসল ও মাছ পরিবহন, শ্মশানে যাতায়াতের ব্যবস্থা সহজ হয়েছে।