
দুই জেলায় নতুন পুলিশ সুপার (এসপি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার। জেলা দুটি হলো— রাজবাড়ী ও মাদারীপুর।
মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
তাতে বলা হয়েছে,রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মোছা. শামিমা পারভীনকে বদলি করে ঠাকুরগাঁও ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে বদলি করা হয়েছে। তার জায়গায় রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার করা হয়েছে সদরদপ্তরের এআইজি মো. কামরুল ইসলামকে।
তাছাড়া মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামানকে বদলি করে পুলিশ সদরদপ্তরে নেওয়া হয়েছে। তার জায়গায় দায়িত্ব পেয়েছেন পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার নাঈমুল হাছান।
কামরুল ইসলাম ও নাঈমুল হাছান বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ২৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা। নাঈমুল হাছান এর আগে ডিএমপিতে কর্মরত ছিলেন। সেসময় তিনি ডিএমপির পরিবহন শাখার ডিসি ছিলেন।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি একযোগে চার জেলার পুলিশ সুপারকে বদলি করা হয়। জেলাগুলো হলো— চট্টগ্রাম, সুনামগঞ্জ, নীলফামারী ও যশোর। তাদের বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল।
তাছাড়া সর্বশেষ নরসিংদীর পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে ঘুষ আদায়, আদালতের মালখানায় না পাঠিয়ে মাদকদ্রব্য গায়েব করে দেওয়া, নিজে এসপি হতে গিয়ে একজনকে দেওয়া ঘুষের ৫০ লাখ টাকা তুলতে পুলিশকে ব্যবহার, মাদক কারবারি এমনকি পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে মাসোহারা আদায়সহ নানান অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এছাড়া আওয়ামী লীগের পলাতক নেতা,আওয়ামীপন্থি ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে পুলিশ দিয়ে চলছে তার রমরমা বাণিজ্য।
বিষয়টি নিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে সদরদপ্তর থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। ব্যক্তির দায় পুলিশ বাহিনী নেবে না। তদন্তে তার অপরাধ প্রমাণ হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ডিআই/এসকে