
নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন হবে কি না- আগামী বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেই সিদ্ধান্ত জানাবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে সভা শেষে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
নববর্ষের শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের বিষয়টি আলোচিত হচ্ছিল। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না- জানতে চাইলে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘আগামী ১০ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা সভা হবে সেখানে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে সিদ্ধান্তের কথা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জানাবে। তবে নাম পরিবর্তন নিয়ে আজ কোনো আলোচনা হয়নি। যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এটা আয়োজন করে সেহেতু তারাই এ বিষয় সিদ্ধান্ত নিবে।’
তিনি বলেন, চৈত্র সংক্রান্তি ও নববর্ষ উপলক্ষে ঢাকা এবং সারাদেশ জুড়ে বাঙালি ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর কী কী অনুষ্ঠান হচ্ছে এর হাইলাইটগুলো নিয়ে আগামীকাল একটা সংবাদ সম্মেলন হবে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হবে, এই প্রেস কনফারেন্সটা কখন কোথায় হবে। সেখানে আমরা লিখিত আকারে বিস্তারিত দিয়ে দেবো কোথায় কখন কী হচ্ছে, না হচ্ছে।
আগে বলেছেন যে এ বছর শোভাযাত্রা আরও বেশি ইনক্লুসিভ হবে, সেটা কীভাবে করবেন বা কী কী থাকছে- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এবারের শোভাযাত্রায় বাঙালিসহ অন্যান্য ২৬টি জাতিগোষ্ঠী অংশ নেবে। এটা সরকারি উদ্যোগে হবে। এখনই বান্দরবানে নৃ-গোষ্ঠীর আয়োজনে মেলা চলছে। চৈত্র সংক্রান্তিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, যাতে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী উৎসব করতে পারেন। এর বাইরে কী কী থাকবে সেটা জানতে হলে অনুষ্ঠানে এসে দেখতে হবে। এখন বলে দিলে তো আর আগ্রহ থাকবে না।
শোভাযাত্রার নাম ইউনেস্কো স্বীকৃত, সেটার নাম পরিবর্তনের বিষয়টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে ছেড়ে দিচ্ছেন, নাকি এখানে সরকারের কোনো ভূমিকা থাকবে- এ বিষয়ে ফারুকী বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু এ শোভাযাত্রার আয়োজন করে, তারা নেতৃত্বে থাকে তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন। সরকার সারাদেশ নিয়ে ভাবে, সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও আছে। সরকার সকল কিছু নিয়ে ভাবে। সরকার নিশ্চয়ই ভাববে।’
ডিআই/এসকে