ঢাকা, রবিবার, ১৩ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
মোহাম্মদপুর সাড়াশি অভিযানে গ্রেফতার ১২
আত্রাইয়ের বান্দাইখাড়া টেকনিক্যাল কলেজে গাজায় হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ
যাত্রীবাহী বাস তল্লাশি,মিললো ৩ হাজার ইয়াবা
ডিবি থেকে সরানো হলো রেজাউল করিম মল্লিককে
মোটিফে আগুন দেওয়া দুর্বৃত্ত শনাক্ত,শোভাযাত্রার আগেই সুসংবাদ: ডিএমপি কমিশনার
চারুকলায় ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় নিরাপত্তায় অবহেলা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা: র‍্যাব ডিজি
টেকনাফে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ৬ মায়ানমার নাগরিক আটক
সিগারেট চা একসাথে খেলে শরীরে যে ক্ষতি হয়
ঝিকরগাছায় পুকুর থেকে বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার
রামু-নাইক্ষ্যংছড়িতে ডাকাত দলের গোলাগুলিতে আহত-৩ 
নেত্রকোনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের সাথে শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদ এর সৌজন্য সাক্ষাৎ 
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কবীর আহমেদ ভূঁইয়ার আয়োজনে ঈদ পূর্ণমিলনী
আত্রাইয়ে শিক্ষক ছনি সরকারের আয়োজনে গাজায় নির্মম গণহত্যার প্রতিকার চেয়ে দোয়া
হোমনায় চারকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠিত  
গর্জনিয়া বিশাল তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে মুফতি আমির হামজা

লক্ষ্মীপুরে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

লক্ষ্মীপুরে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে নুরুল আমিন (৬০) নামে এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে একদল দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে । ঘটনার সময় নিহতের ৪ ছেলে-মেয়েও আহত হন৷ এই হত্যার ঘটনায় সেলিম নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে কমলনগর থানা পুলিশ।

ঘটনার বিবরনে জানা যায় সোমবার (৭ এপ্রিল) রাত ১১ টার দিকে উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ভাইস চেয়ারম্যান সড়কের চৌধুরীর চায়ের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এই হত্যার ঘটনা কে কেন্দ্র করে এদিকে নুরুল আমিনের মৃত্যুতে তোরাবগঞ্জ বাজারে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ মিছিল করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। নুরুল আমিনকে তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য দাবি করে হত্যাকারীদের গ্রেফতারসহ দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানায় বিক্ষুব্ধরা।

এসময় ৪০-৫০ জন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়।
মারামারির ঘটনায় আহতরা হলেন নিহত নুরুল আমিনের ছেলে বজলুর রহমান ভুলু, মো. মামুন, মো. ফিরোজ ও মেয়ে আছমা আক্তার।
ঘটনাস্থল থেকে আটক সেলিম এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।

হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার সময় নুরুল আমিনের ছেলে মামুন চা খেতে চৌধুরীর দোকানে যান৷ এতে তাকে একা পেয়ে কোনো কারণ ছাড়াই কামাল, জামাল, মাসুদ, আলমগীর, মনির ও সেলিম তাকে বেধড়ক মারধর করেন।
মারধরের খবর পেয়ে নুরুল আমিনসহ তার ছেলে বুলু ও মেয়ে আছমা ঘটনাস্থলে যান৷ এসময় মামুনকে বাঁচাতে গেলে তারাও মারধরের শিকার হন। বেধড়ক মারধরে নুরুল আমিন আহত হন৷

স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে নুরুল আমিনসহ তিনজনকে সদর হাসপাতালে পাঠান কর্তব্যরত চিকিৎসক। সদর হাসপাতালে নিলে নুরুল আমিনকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

উক্ত ঘটনার সম্পর্কে জানতে চাইলে বজলুর রহমান বুলু বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বহিরাগতদের নিয়ে চা দোকানের মাচায় আড্ডা দেয়। দুইদিন আগে আমি তাদের কাছ থেকে বহিরাগতদের পরিচয় জানতে চাই। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এর জেরে তারা আমার ভাইকে মারধর করে। পরে আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদেরকে মেরে আহত করে। তাদের পিটুনিতেই আমার বাবা মারা গেছেন।

হত্যার ঘটনা সম্পর্কে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সম্পর্কে আমরা জানতে পেরে সেখানে পুলিশ পাঠাই। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

শেয়ার করুনঃ