
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামে কখনো অনলাইনে আউটসোর্সিং কাজ শেখানো কিংবা সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সেজে অভিনব উপায়ে প্রতারণা করতেন তারা। এভাবে বিভিন্নজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে ঢাকা লালবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি)।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন-সুকান্ত বিশ্বাস (২৪) ও মানব বৈদ্য (২৩)। এসময় তাদের কাছ থেকে অপরাধকাজে ব্যবহৃত ছয়টি মোবাইল ফোন ও ১৪টি সিম জব্দ করা হয়।
সোমবার(৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান।
সিআইডি জানিয়েছে,প্রতারক চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে সিমগুলো প্রতারণা কাজে ব্যবহার করছে। তারা সিম নম্বরগুলো বন্ধ করে সেগুলো থেকে ওটিপি গ্রহণ করে নতুন হোয়াটসঅ্যাপ চালু করতেন। সেসব অ্যাকাউন্ট থেকে পুলিশসহ সরকারি বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী,বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পুলিশসহ সরকারি বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা,ব্যবসায়ী,বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পরিচয়ে প্রতারণাসহ লোকজনকে বিভিন্ন অনলাইন আউট সোর্সিং কাজ দেওয়ার নামে কিংবা অন্য কোনো উপায়ে প্রলুব্ধ করে অর্থ হাতিয়ে নিতে। এ বিষয়ে পল্টন থানায় নিয়মিত মামলা হয়। মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী উল্লেখ করেন,তিনি মোবাইলে ইন্টারনেট,ওয়েবসাইট ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করার সময় মাঝে মাঝে আউটসোর্সিং কাজের জন্য বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখতেন। কাজের পাশাপাশি একটু বাড়তি আয় করার জন্য অনলাইন মাধ্যমগুলোতে খোঁজ করাকালে তার টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে পার্ট টাইম একটি কাজের জন্য একটি মেসেজ দেখতে পান। বাদী তাদের সাথে যোগাযোগ করলে টেলিগ্রামের একটি গ্রুপে অ্যাড করে দিলে সেখানে আরও অনেক মেম্বার রয়েছে বলে দেখতে পান। টেলিগ্রাম গ্রুপে কাজ শেখার জন্য ১০ হাজার টাকা ফি দেওয়ার (ডিপোজিট) জন্য বলা হয়। পরবর্তী সময়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠালে প্রতারক চক্রটি ভুক্তভোগীকে ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খুলে দেয় এবং কাজের কিছু নির্দেশনা দেন।
কাজ করার পর ভুক্তভোগী তাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করে আরও তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করলে তারা আর মেসেজ সিন কিংবা রিপ্লাই দেয়নি। পরে বাদী তার কিছু বন্ধু ও পরিচিতজনদের সাথে জানতে পারেন যে, এরকম টেলিগ্রাম,হোয়াটস অ্যাপ বা মেসেঞ্জারে গ্রুপের মাধ্যমে অনলাইনে আউট সোর্সিং কাজ করার জন্য অনেকে টাকা প্রদান করে প্রতারণার শিকার হয়েছে।
ডিআই/এসকে