ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
মেলান্দহের মাহমুদপুর ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে ভিজিএফের চাল বিতরণ
রাজাপুরে ঈদুল আজহা উপলক্ষে নজর কেড়েছে ‘ব্লাক ডায়মন্ড’
নবীনগরে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ৩
বকশীগঞ্জে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে শিশুর মৃত্যু
পঞ্চগড়ে ড্রেজার বিরোধী যৌথ বাহিনীর অভিযান
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রাক উল্টে ভয়াবহ গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ
পঞ্চগড়ে ভুট্টাক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল ৩ শ্রমিকের
নওগাঁয় গাঁজাসহ কলেজছাত্রী গ্রেপ্তার
পবিত্র মক্কায় চালু হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় শীতলীকরণ ব্যবস্থা
তানোরে নতুন ভাবে তৈরি না হওয়ায় গ্রামাঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামের এসি মাটির বাড়ি
পঞ্চগড় আগের তুলনায় সুপারির দাম বেশি, সুপারি এখন সোনার হরিণ
নিরাপদ ঈদ যাত্রায় ডিবির অভিযান,চার পেশাদার ছিনতাইকারী গ্রেফতার
বোদায় কোরবানির গরুর দাম বেশি, কেনার থেকে দেখার লোক বেশি
ঈদুল আযহা উপলক্ষে কামারদের ব্যস্ততা চরমে
পিরোজপুরে পরিবহন ভাড়া যৌক্তিক করার দাবীতে যাত্রী কল্যান সমিতির মানববন্ধন

মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মধ্যরাতে ডাক্তার-নার্সদের ঘুমে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত রোগীরা

সাজ্জাদ হোসাইন শাহীন – জামালপুর প্রতিনিধিঃ মধ্যরাতে মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রোগী ও স্বজনদের দাবি, সেবা না দিয়ে হাসপাতালের কক্ষে ঘুমিয়ে থাকেন ডাক্তার-নার্সরা। ডাকাডাকি করেও প্রয়োজনে পাশে পান না নার্সদের। দায়সারা জবাব হাসপাতাল প্রশাসনের।গত শনিবার মধ্যরাতে সরেজমিনে দেখা যায়, মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রাতে দায়িত্বরত ডাক্তারকে জরুরি বিভাগে পাওয়া যায়নি। নার্স দরজা ভিতরে লাগিয়ে ঘুমাচ্ছেন । দরজার সামনে অপেক্ষায় রোগী ও তাদের স্বজনরা। রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, ডাকাডাকি করেও প্রয়োজনের সময় পাওয়া যায় না নার্সদের। রাতে সেবা চাইতে গেলে উল্টো খারাপ ব্যবহার করেন তারা।
রোগীরা জানান, ঠিকমতো নার্সরা আসেন না। সেবা তো দূরে থাক, প্রয়োজনের সময় অনুরোধ করেও আনা যায় না তাদের। ডাক্তার আর প্রশাসনের কাছে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি বলে দাবি তাদের।

মধ্যরাতে চিকিৎসা নিতে আসা লিয়াকত হোসেন নামে এক ব্যক্তি জানান,হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছি।এসে দেখি ডাক্তাররা ঘুমিয়ে আছে। ডাকলাম।এখনো ঘুমিয়েই আছে।হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, গত শনিবার রাতে জরুরি বিভাগে ডাঃ ওসমান গনি দায়িত্ব পালন করেন। সাধারণ ওযার্ডে দুজন নার্স দায়িত্বরত ছিলেন।তারা হলেন -শাপলা বেগম ও আয়েশা বেগম।
জরুরি বিভাগের ডাঃ ওসমান গনি জানান,পাশে নির্ধারিত রুমেই ছিলাম।মাঝে মাঝে ঘুমের ভাব আসে।বিষয়টি বললেন।সতর্ক হলাম। আর এমন হবেনা।তবে এসব বিষয় অস্বীকার করেন সেদিন দায়িত্বরত নার্সরা। শাপলা নামে নার্স জানান, রোগীর খোঁজ নিয়ে ওয়াসরুমে ছিলেন এমন দায়সারা কথা বলেন।রোগীরা যখন আসে তখনই সেবা দেয়া হয় তাদের। পাশাপাশি রাতে রোটেশন অনুযায়ী সেবা দেয়া হয় রোগীদের। আরেক নার্স আয়েশা বেগম এ বিষয়ে কথা বলেননি।পাশে থাকা তার স্বামী সংবাদিকদের সংবাদ প্রকাশ করতে বারণ করেন।মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গাজী রফিকুল হক জানান,রাতে সাংবাদিকদের আসা ঠিক হয়নি।আমাকে জানাতে পারতো সাংবাদিকরা।আপনাদের মাধ্যমে জানলাম।রাতে বিশ্রাম নিতেই পারে।এতে কোন সমস্যা নেই।

শেয়ার করুনঃ