
রাসেল আহমেদ, হোমনা প্রতিনিধি: কুমিল্লার হোমনায় ঈদের ছুটিতে বেড়াতে এসে বাড়ি ফেরা হলোনা মারিয়া আক্তার (১১) ও মাহবুব (৯) নামের দুই শিশুর।
শনিবার দুপুরে উপজেলার শ্রীমদ্দি গ্রামের গাংকুল বাড়ির দুটি ঘাটে তিতাস নদীতে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে দুই শিশু নিখোঁজ হয়। আজ রবিবার সকালে শিশু মাহবুব (৯) ও বিকালে মারিয়া (৩০) আক্তারের লাশ নদীতে ভেসে উঠলে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা লাশ দুটি উদ্ধার করেন।
ঈদের ছুটিতে মাহবুব শ্রীমদ্দি তার নানার বাড়িতে ও মারিয়া আক্তার তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। মাহবুব নরসিংদীর রায়পুর উপজেলার বিল্লাল মিয়ার ছেলে ও মারিয়া আক্তার হোমনা উপজেলার হুজুরকান্দি গ্রামের মো. আলী নেওয়াজের মেয়ে। সে সপরিবারে নারায়ণগঞ্জে বসবাস করত।
জানাযায়, শনিবার দুপুরে দুটি শিশু তিতাস নদীর ভিন্ন দুটি ঘাটে গোসল করতে গিয়ে কোন এক সময় পানিতে নিখোঁজ হয়। শিশু দুটি নিখোঁজের পর থেকেই স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তাদেরকে খুজে পেতে চেষ্টা চালায়। শনিবার সারাদিন অনেক খোজাখুজি করেও শিশু দুটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি। এর একদিন পর রবিবার সকালে চরেরগাঁও সংলগ্ন তিতাস নদীতে শিশু মাহবুবের লাশটি ভেসে উঠে। পরে উদ্ধারকর্মীরা লাশটি তুলে আনেন। এরপর বিকেল পাঁচটার দিকে শিশু মারিয়া আক্তারের লাশটি উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ দিদারুল আলম জানান, শনিবার থেকেই আমরা নিখোঁজ দুই শিশুকে আমাদের ডুবুরিদের সহায়তায় খুঁজছি। এর মধ্যে রবিবার সকালে শিশু মাহবুবের লাশটি ভেসে উঠলে তাকে উদ্ধার করেছি। অপর নিখোঁজ শিশু মারিয়ার ভাসমান লাশটি বিকাল পাঁচটার দিকে নদী থেকে উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হুদা বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদের সহায়তায় নদীতে নিখোঁজ শিশু মাহবুব ও মারিয়া আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কারোর কোনো অভিযোগ নেই।