কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একুশে পরিবহনের একটি বাসকে কয়েকটি মোটরসাইকেল যোগে ধাওয়া ও ইট নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় রয়েছেন বাসটির চালক মো.সোহেল।
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদে ডাকাতির ঘটনা বলে প্রকাশিত এই ঘটনাটি কোন ডাকাতির ঘটনা না বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, বাসটির চালক জনাকি নামের অন্য একটি পরিবহনকে ওভারটিকং করার সময় একজন মোটরসাইকেল আরোহীকে চাপ দেয়ার উপক্রম হলে ৮ থেকে ১০ টি মোটরসাইকেল আরোহী একুশে পরিবহনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বাসটিকে থামাতে বলে। কিন্তু বাসটির চালক না থামিয়ে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তারা বাসটি থামাতে ধাওয়া ও ইট নিক্ষেপ করে।
রবিবার (৬এপ্রিল) বেলা ১২টা নাগাদ বাংলাদেশ পুলিশের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানায় পুলিশ সদর দপ্তর।
কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে বাস ডাকাতির চেষ্টা শিরোনামে ভাইরাল ভিডিও প্রসঙ্গ,উল্লেখ করে সেখানে বলা হয়, গত ৩১ মার্চ রাত অনুমান আড়াইটার দিকে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একুশে পরিবহনের ঢাকা মেট্রো-ব ১৪-৬৮১২ নাম্বারের একটি বাসকে অজ্ঞাতনামা অনুমান ৮/১০টি মোটরসাইকেল যোগে ধাওয়া করে থামানোর চেষ্টা করে এবং চলন্ত বাসে ইটের টুকরো দিয়ে ঢিল ছুঁড়ে বাস চালককে আহত করার ঘটনা ঘটে।
উক্ত ঘটনাকে বাস ডাকাতির চেষ্টা শিরোনামে বিভিন্ন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা যায় যে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বর্ণিত একুশে পরিবহনের বাস ও একটি জোনাকি বাস ঢাকা-কুমিল্লা মহাসড়কে কুমিল্লা পদুয়ারবাজার বিশ্বরোড সংলগ্ন রাস্তায় ওভারটেক করার সময় অজ্ঞাতনামা একটি মোটরসাইকেল আরোহীকে চাপ দেয়ার উপক্রম হলে তিনি ও তার সাথে থাকা আরো অনুমান ৮/১০ টি মোটরসাইকেল আরোহী একুশে পরিবহনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বাসটিকে থামাতে বলে। কিন্তু বাস চালক বাস না থামিয়ে দ্রুত গতিতে নোয়াখালীর দিকে আসতে থাকে।
গভীর রাত ও রাস্তা ফাঁকা থাকার কারণে বাসে থাকা যাত্রীরাও বাস চালককে বাস থামাতে নিষেধ করে। ইতোমধ্যে কয়েকটি মোটর সাইকেলের আরোহী দ্রুতগতিতে বাসটিকে ওভারটেক করে বাসটিকে বার বার থামাতে বলে। কিন্তু বাস চালক বাস না থামানোয় মোটরসাইকেল থেকে ইটের টুকরো ছুঁড়ে মারলে বাসের সামনের গ্লাস ভেঙ্গে বাস চালক মোঃ সোহেল আঘাত প্রাপ্ত হয়। তখন বাসে থাকা একজন যাত্রী জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করে পুলিশের সহযোগিতা চান। পুলিশ সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা এলাকায় পৌঁছলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকটি মোটরসাইকেল চৌরাস্তা হতে ঘুরিয়ে দ্রুত বেগে সোনাইমুড়ী-লাকসাম অভিমুখে চলে যায় মর্মে জানা যায়। উক্ত স্থানে বর্ণিত বাসটিকে পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে জানা যায় যে, বাস চালক বাস নিয়ে মাইজদী চলে আসেন। বাস চালক বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উক্ত ঘটনাকে “চলন্ত বাসে ডাকাতির চেষ্টা” বলে কিছু মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে, যা সঠিক নয়।
এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানানো হয়।
ডিআই/এসকে