দেশীয় অস্ত্র,ছুরি ও চাপাতি দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে অটোরিক্সা চালক মাহবুব হত্যা মামলার আসামি পিচ্চি মনির গ্যাং এর সক্রিয় দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১০)।
গতকাল (০৫এপ্রিল) রাত আনুমানিক ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে রাজধানীর কমলাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি ডানু (৩৫) ও রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর আরামবাগ এলাকা থেকে জনি (৩৮)',কে গ্রেফতার করা হয়।
রবিবার (০৬এপ্রিল) র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১০) এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনি. সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তাপস কর্মকার বলেন, গত ১ জানুয়ারি মধ্যরাত আনুমানিক দেড়টার দিকে অটোরিক্সা চালক মাহবুব আলম (৩২) থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপনের জন্য বের হলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে পিচ্চি মনির গ্যাং এর সক্রিয় সদস্য ডানু (৩৫) ও জনি (৩৮)’সহ বেশ কয়েকজন আসামী রাজধানীর লালবাগ থানাধীন ২৪নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত জেএন সাহা রোডস্থ এলাকায় ভিকটিম মাহবুবকে ঘিরে ধরে দেশীয় অস্ত্র, ছুরি ও চাপাতি দিয়ে এলোপাথারি কোপাতে থাকে। আসামীদের আক্রমনে ভিকটিম মাহবুব হাতের বাহু, মাথার পিছনে ও পায়ের গোড়ালিতে গুরুতর রক্তাক্ত জখম প্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলে মৃতুবরণ করে। পরে ভিকটিম মাহবুবের পরিবারের লোকজন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মাহবুবের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায়। এ ঘটনায় মৃত ভিকটিম মাহবুবের মা মোছা. আমেনা বেগম বাদী হয়ে রাজধানীর লালবাগ থানায় গ্রেফতারকৃত দুই আসামীসহ ১৩ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫ থেকে ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনাটি জানতে পেরে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল হত্যাকান্ডে জড়িত আসামীদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল (০৫এপ্রিল) রাতে রাজধানীর কমলাপুরে ও আরামবাগে অভিযান পরিচালনা করে এজাহারনামীয় আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ডিআই/এসকে