
সোহেল সরকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান পলাশ ও তার সমর্থিত ১১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে বাঞ্ছারামপুরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের অফিস ভাঙচুর করা
শনিবার দুপুরে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ আল আমিন প্রধান অভিযোগটি দায়ের করেন।
এর আগে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদর বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের একাংশের নেতাকর্মীরা।
অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলা বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান পলাশ, হুমায়ুন সরকার, তানভীর, তানজিল, সুমন, কামাল, রফিক ফয়সাল, মেহেদি, সাব্বির, মকবুল।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার রাধানগর গ্রামে আরফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের উদ্দ্যেগে একটি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করেছিলেন কর্তৃপক্ষ। সেখানে প্রধান অতিথি করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক সিকাদারকে।
ওই সময় খেলা শুরুর আগেই মামলার আসামিরা আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদ অফিস ভাঙচুর করে এবং শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর ছবি ভাঙচুরসহ কয়েক লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ম.ম ইলিয়াছ, সাবেক সহসভাপতি ভিপি নাজমুল হুদা, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম সাজ্জাদ, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক ভিপি মুজিব, বাঞ্ছারামপুর পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান জালু, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মীর হালিম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য কবির হোসেন, বাঞ্ছারামপুর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জিসান সরকার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ওমর ফারুক, উপজেলা জাসাসের আহ্বায়ক এম.এ সালাম, বাঞ্ছারামপুর পৌর যুব দলের আহ্বায়ক ঈমান আলী প্রমুখ।
এ সময় নেতাকর্মীরা বক্তারা বলেন, অনতিবিলম্বে পলাশ ও তার সহযোগীদের দলীয় কার্যালয় থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।