
ঈদের জামাতের মধ্য দিয়ে শুরু,দিনব্যপি খেলাধুলা, ভুরিভোজসহ ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে ঈদ উদযাপন করলেন কারাবন্দিরা।
এছাড়াও বন্দিদের আত্মীয় স্বজন ও দর্শনার্থীদের বিভিন্ন প্রকার উপহার সামগ্রী দিয়ে ছিল অভ্যার্থনা জানানোর আয়োজনও।
সোমবার (৩১ মার্চ) সারা দেশে অনুষ্ঠিত হলো ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। দেশের সাধারণ মানুষের আনন্দ উৎসবের মতই দিনব্যাপী আনন্দ উৎসবের মতই নানান আয়োজনে মেতে ছিল কারাবন্দীরা। কারাবন্দীদের এ তথ্য জানান সহকারি কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো.জান্নাত-উল ফরহাদ।
জান্নাত-উল ফরহাদ জানান,পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের দিনটি আনন্দঘন পরিবেশ উদযাপনের নিমিত্ত দেশের সকল কারাগারে যথাযথ নিরাপত্তায় বন্দিদের নিয়ে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে সকল বন্দিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঈদ-উল ফিতরের নামজের জামাতে অংশগ্রহন করে। এছাড়াও বন্দিদের মাঝে উন্নত খাবার পরিবেশনের সকালের নাস্তায় পায়েস, মুড়ি,; দুপুরে-পোলাও, গরুর/খাসির মাংস, মুরগীর রোষ্ট, ডিম, কোল্ডড্রিংক্স, চমচম, পান-সুপারি, সালাত,; ও রাতে- ভাত, মাছ, আলুর দম সাথে সাথে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,পুরুষ ও মহিলা বন্দিদের বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। ফলে সকল বন্দি ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যামে অংশগ্রহন ও উপভোগ করে।
তিনি জানান,কারাগারগুলোতে বিভিন্ন প্রকার উপহার সামগ্রী যেমন-ফুল, চকলেট, বাতাসা, কদমা, মিষ্টি, ফিন্নি, বেলুন ইত্যাদি দিয়ে আগত বন্দিদের আত্মীয় স্বজন ও দর্শনার্থীদের অভ্যার্থনা জানানো হয়। বাংলাদেশ জেলের এ ধরনের সৌহার্দপূর্ণ আচরণ আগত দর্শনার্থীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
উল্লেখ্য যে,পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে আগামী তিন দিন সকল শ্রেণীর বন্দিদের একবার বিশেষ সাক্ষাত ও টেলিফোনে নির্ধারিত নম্বরে কথা বলার এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তিনদিনে একবার বাহিরের খাবার গ্রহনের সুযোগ দেয়া হচ্ছে। এ ধরনের উদ্যোগ বাংলাদেশ জেলকে সকলের মাঝে নতুনভাবে উপস্থাপন করছে।
ডিআই/এসকে