ঢাকা, মঙ্গলবার, ১লা এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
মাধবপুরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ
নড়াইলে ঈদগাহ ময়দানে ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার অভিযোগ
কারাবন্দীদের ঈদ:নামাজ- খেলাধুলা-ভুরিভোজে কারাবন্দীদের উৎসাহ উদ্দীপনার ঈদ
লোহাগড়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে সাবেক সেনা সদস্য নিহত
মান্দায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে এসিল্যান্ডের ড্রাইভারসহ গ্রেপ্তার-৪
কারাগারে কেমন কাটছে ভিআইপিদের ঈদ? কী খেলেন তারা?
নওগাঁয় বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল যুবকের
রাজারবাগ পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা,পুলিশ সদস্যদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়
রাজাপুরে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে যুবকের আত্মহত্যা
কলাপাড়ায় ঈদের চাঁদ উৎসব
সবার প্রতি ঐক্য অটুট রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূস
আমতলীর বিএনপি নেতা মকবুল হোসেন খানের উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারনকে ঈদের শুভেচ্ছা
আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধার উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারনকে ঈদের শুভেচ্ছা
কলাপাড়া অদম্য-৯৭ ব্যাচের আলোচনাসভা, দোয়া ও ইফতার অনুষ্ঠিত
বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব মুফতী মুহাম্মদ ছাইফুর রহমান ছাইদী’র ঈদ শুভেচ্ছা বার্তা

রাজাপুরে পাওনা টাকা চাওয়ায় দোকান তালাবদ্ধ ও মারধরের অভিযোগ

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির রাজাপুরে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীকে মারধর ও দোকান তালাবদ্ধ করার অভিযোগ উঠেছে মো. ইমাম হোসেন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

স্থানীয় সূত্র ও লিখিত অভিযোগ অনুযায়ী, রাজাপুর উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের খায়েরহাট বাজারে দীর্ঘদিন ধরে মুদি দোকান পরিচালনা করে আসছেন মো. নিয়ামুল ইসলাম। ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট পাঁচ বছরের জন্য দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন তিনি। দোকান থেকে নিয়মিত পণ্য কিনতেন মো. ইমাম হোসেন। ধাপে ধাপে তার কাছে ১০,৯৭০ টাকা বাকি হয়ে যায়। পাওনা টাকা চাইলে প্রথমে তালবাহানা করেন, পরে হুমকি দিতে থাকেন। একপর্যায়ে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে দোকান ছাড়তে বলেন।

ভুক্তভোগী নিয়ামুল ইসলাম জানান, “আমার দোকান থেকে নিয়মিত বাকিতে মালামাল নিতেন ইমাম হোসেন। পাওনা টাকা চাইলে তিনি নানা অজুহাত দেন। পরে টাকা দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পরিশোধ করেননি। উল্টো টাকা চাইতে গেলে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখান। সর্বশেষ আমার ছোট ভাইকে মারধর করে দোকানের ক্যাশ থেকে ৮৫ হাজার টাকা ও মালামাল নিয়ে দোকান তালাবদ্ধ করে চলে যান। ঈদের জন্য মালামাল কেনার টাকা দোকানে রাখা ছিল।

অভিযুক্ত মো. ইমাম হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি কোনো টাকা বা মালামাল নেইনি। মারধরের ঘটনাও সত্য নয়। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। তবে তার দোকান থেকে কিছু টাকা বাকিতে নেওয়া ছিল, যা পরিশোধ করা হয়নি।”

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এ ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগী নিয়ামুল ইসলাম প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

শেয়ার করুনঃ