
ইসমাইল ইমন চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি: মহান স্বাধীনতা দিবসে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের অন্যতম সাংস্কৃতিক সংগঠন ত্রিতরঙ্গ নাসিরাবাদ কার্যালয় প্রাঙ্গনে আয়োজন করে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের ঈদ পোশাক বিতরণ, দুস্থ কর্মসংস্থানে ভ্যানগাড়ি প্রদান, ঘর নির্মাণের সহযোগিতা ও ইফতার সন্ধ্যা।
বিশিষ্ট কবি ও কথা সাহিত্যিক এলিজাবেথ আরিফা মোবাশশিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম এবং প্রশাসক,চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ, চট্টগ্রাম ওয়াসা ও চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি কবি আনোয়ার পাশা।বিশেষ অতিথি ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশন, চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক মোহাঃ আবুল হোসেন এবং বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রামের পরিচালক মোঃ মাহফুজুল হক। ত্রিরঙ্গের প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব শাওন পান্থের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
বিকেল ৩টা থেকে ইফতার পর্যন্ত শতাধিক শিশু-কিশোরদের মধ্যে আকর্ষণীয় ঈদ পোশাক বিতরণ করা হয়। এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, দুদক উপ-পরিচালক, চট্টগ্রাম দুই অঞ্চল মোহাম্মদ আতিকুল আলম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক আমার দেশ আবাসিক সম্পাদক, জাহিদুল করিম কচি, সাউথ ইস্ট ব্যাংক জোনাল হেড চট্টগ্রাম রাশিদুল আমিন, চার্টার প্রেসিডেন্ট, লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগাং অ্যামিয়েবল রোজ গার্ডেন সুলতানা নুরজাহান রোজি, বেতার সংবাদ পাঠক অধ্যাপিকা ফাতেমার জেবুন্নেসা প্রমুখ। এ অনুষ্ঠানে ১২০ জন শিশু-কিশোরকে নতুন ঈদের পোশাক বিতরণ, দুজনকে কর্মসংস্থানে ভ্যান গাড়ি ও গৃহ নির্মাণের সহায়তা করা হয় এবং ২০০ লোকের ইফতার আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথি কবি আনোয়ার পাশা ত্রিতরঙ্গের এই ব্যতিক্রম ধর্মী সেবামূলক কাজের প্রশংসা করে বলেন ত্রিতরঙ্গ গত ৪০ বছর যাবত এই ধরনের ব্যতিক্রমী কাজ করে একটি অনন্য সংগঠনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।প্রতিটি সংগঠনের উচিত সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি এ ধরনের সেবা মূলক কাজে আত্মনিয়োগ করা। দুদক পরিচালক মোহাম্মদ আবুল হোসেন বলেন শত শিশুর মুখে হাসি ফুটিয়েছে আজ ত্রিতরঙ্গ। এই দৃশ্য এই আনন্দ টাকা দিয়ে কেনা সম্ভব নয়, সম্ভব শুধু ভালোবাসা দিয়ে অর্জন করা।ত্রিতরঙ্গের মহাসচিব শাওন পান্থ বলেন জন্ম লগ্ন থেকে সংস্কৃতি চর্চা ও বিকাশের পাশাপাশি এ ধরনের সেবা হল কাজ করে আসছি আমরা। পাড়ি দিয়েছি একে একে ৪০টি বছর। আমি অভিনন্দন জানাই যে সকল মহৎ ব্যক্তিবর্গ নিভৃতে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।