
মোঃ ফিরোজ আহমেদ স্টাফ রিপোর্টারঃ
রমাদান মাস একটি মোবারক মাস যে মাসকে তিনটি ভাগ করা হয়েছ রহমত,মাগফিরাত, দোযখ থেকে নাযাত।
এ মাসে এমন একটি রাত রয়েছে যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। আল-কুরআনের ঘোষণা,
﴿ لَيۡلَةُ ٱلۡقَدۡرِ خَيۡرٞ مِّنۡ أَلۡفِ شَهۡرٖ ٣ ﴾ [القدر: ٣]
‘‘কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম’’ [সূরা কদর : ৪]
হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«مَنْ يَقُمْ لَيْلَةَ الْقَدْرِ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ».
‘‘যে ব্যক্তি ঈমান ও সাওয়াব পাওয়ার আশায় ইবাদাত করবে তাকে পূর্বের সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে’’ [সহীহ আল-বুখারী : ৩৫]
এ রাত পাওয়াটা বিরাট সৌভাগ্যের বিষয়। এক হাদীসে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন,
«كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَجْتَهِدُ فِى الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مَا لاَ يَجْتَهِدُ فِى غَيْرِهِ».
‘‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্য সময়ের তুলনায় রমদানের শেষ দশ দিনে অধিক হারে পরিশ্রম করতেন’’ [সহীহ মুসলিম : ১১৭৫]
লাইলাতুল কদরের দো‘আঃ
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বললেন, হে আল্লাহর নবী ! যদি আমি লাইলাতুল কদর পেয়ে যাই তবে কি বলব ? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, বলবেঃ
«اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّى»
‘‘হে আল্লাহ আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমাকে ভালবাসেন, তাই আমাকে ক্ষমা করে দিন।’’ [সুনান আত-তিরমিযী : ৩৫১৩
আমাদের উচিৎ লাইলাতুলকদরে অবহেলা না করা
আল্লাহর কাছে ইবাদতের মধ্য দিয়ে চাইতে হবে যদি সে রাতে নিজেকে মাসুম তথা পাপমুক্ত করতে না পারেন যদি নিজেকে নিস্পাপ করতে না পারেন তাহলে আপনার মতো হতোভাগা আর কেউ নেইআল্লাহ শুধু লাইলাতুলকদরেই ক্ষমা করেন ব্যপারটা এমন নয় আল্লাহ তো দয়ালু হাদিসে এসেছে রমজানের এমন কোন রাত নেই যে রাতে আল্লাহ অসংখ্য জাহান্নামিকে ক্ষমা করে না দেন আর আমাদের জন্য স্পেশাল যে রাত সেটিই হলো লাইলাতুলকদর আমারা হাজার বছর বাচবো না কিন্তু এ রাতে ইবাদাত করলে হাজার বছর রাত জেগে যে সাওয়াব পাওয়া যায় তার চেয়ে উত্তম প্রতিদান পাওয়া জায়। আসুন আমরা এই রাতকে কাজে লাগাই জাহান্নাম থেকে বাচতে নিজের ভাগ্য বদলাতে এ রাতকে হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগাই।