
এইচ,এম, শহিদুল ইসলাম, মোরেলগঞ্জ, বাগেরহাট প্রতিনিধি: যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় উদযাপিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৫। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে ছিল শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা, দোয়া-মোনাজাত এবং আলোচনা সভা।বুধবার (২৬ মার্চ) ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়। এরপর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। উপজেলার ৯০ রাশি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শহীদ স্মৃতিসৌধে উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, পুলিশ, আনসার, পৌরসভা, স্বাস্থ্য বিভাগ, সরকারি এস.এম. কলেজ, পল্লী বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, প্রেসক্লাব ও বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
সকাল ৮টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে উপজেলা পরিষদ মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পুলিশ ও আনসারের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়, যা উপস্থিত অতিথিদের মুগ্ধ করে।
পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাবিবুল্লাহ এবং সঞ্চালনা করেন উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সোনা ক্যাম্প ইনচার্জ ক্যাপ্টেন সাদমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন হাওলাদার, রুহুল আমিন ফকির, শাহ আলম হাওলাদার, শাহ আলম বাবুল, আব্দুল গাফফার হাওলাদার, সেলিম হোসেন, গিয়াস উদ্দিন তালুকদার, নিহার রঞ্জন হালদার, কেন্দ্রীয় তাঁতি দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনির, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা, থানা ওসি (তদন্ত) রাজীব আল বশির, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল জাবির, উপজেলা প্রতিবন্ধী কর্মকর্তা কায়কোবাদ আকুঞ্জি, সমাজসেবা কর্মকর্তা গৌতম কুমার বিশ্বাসসহ অনেকে।
দিবসটি উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সারাদিনব্যাপী কর্মসূচিতে স্থানীয় জনগণ, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন, যা দিবসটিকে আরও স্মরণীয় করে তোলে।