
মো: তারিকুর রহমান জীবননগর অফিস (চুয়াডাঙ্গা) :
চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ‘হয়রানিমূলক’ হত্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে।
বুধবার (২৬ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে জীবননগর বাসস্ট্যান্ডে জীবননগর উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রদলের ব্যানারে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।মানববন্ধনে জীবননগর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব মোকছেদুর রহমান রিমন তার বক্তব্য বলেন, গত ১৭ মার্চ জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের বিল্পব হোসেন ওয়াজের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে থানার চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতির নামে মামলা হয়েছে। তবে বিল্পবের মৃত্যু সড়ক দুর্ঘটনা না হত্যা করা হয়েছে সেটি এখনো জানা যায়নি। আমরা জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতির নামে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।মোকছেদুর রহমান রিমন আরও বলেন, আমরা চাই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা হোক। তদন্তে যদি কেউ দোষী হয় আমরা তার ফাঁসি দাবি করছি। তবে কাউকে যেন হয়রানি না করা হয় এই দাবি জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বাঁকা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি তৌফিক ইসলাম, ৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জীবননগর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি পদপ্রার্থী ইমরান হোসেন ফরহাদ, সীমান্ত ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শামিম হোসেন, জীবননগর পৌর ছাত্রদল নেতা আল মাস আনান প্রমুখ।
এ বিষয়ে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, বিপ্লব হোসনের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় তরিকুল ইসলাম, সুলতান ও বাবলু নামে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। বিপ্লবের মৃত্যুর সঠিক কারণ ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর জানা যাবে।জানা গেছে, গত ১৭ মার্চ ভোর ৪টার দিকে ৯৯৯-এ কল পেয়ে জীবননগর থানা-পুলিশ গয়েশপুর গ্রামের চাঁদ মিয়া ওরফে বুড়োর ছেলে বিপ্লব হোসেন ওরফে ওয়াজ সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুর বিল কাশারির মাঠের রাস্তার পাশ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়। ঢাকায় এ ওয়ান হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় ।পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে।