
লক্ষীপুরের রামগতিতে হাত-পা বেধে এক সন্তানের জননীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামী মো.জামাল শনিকে (৪৮) গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-৩,নোয়াখালীর সদস্যরা। ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে লক্ষীপুর জেলার রামগতি থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কোম্পানী কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার এজাহার পর্যালোচনায় জানা যায়,গ্রেফতারকৃত আসামী মো.জামাল শনি (৪৮) লক্ষীপুর এর বাসিন্দা। মামলায় বাদীকে তিনি ১নং দীর্ঘদিন যাবত মামলার বাদীনিকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। বাদী তার স্বামীকে বিষয়টি জানালে তার স্বামী শালিশ বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের জন্য বৈঠকের তারিখ ধার্য্য করে কিন্তু ১নং বিবাদী কারো কথা তোয়াক্কা না করে বাদীনিকে উত্ত্যক্ত করাসহ কু-প্রস্তাব অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ মার্চ বাদী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য ঘর হতে বের হয়ে বাথরুমের সামনে গেলে পূর্ব থেকে ওঁত পেতে থাকা বিবাদী ভিকটিমকে পিছন থেকে ঝাপটে ধরে মুখ চেপে ধরে। ভিকটিম ১নং বিবাদীর সাথে সেসময় ফেরদৌস,নুরুল ইসলাম, আশরাফ ও হেলালের নাম ধরে ডাকাডাকি করলে তারা ঘটনাস্থলে এসে ভিকটিমের ব্যবহৃত ওড়না ও পড়নের কাপড় চোপড় খুলে,ওড়না ছিড়ে ওড়নার টুকরা দিয়ে ভিকটিমের হাত,মুখ ও চোখ বেধে বাথরুমের সামনে মাটিতে ফেলে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ভিকটিম শোরচিৎকার করলে সাক্ষীদের ঘটনাস্থলে আসতে দেখে বিবাদীরা পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ভিকটিম তার স্বামী ও আত্মীয় স্বজনসহ থানায় হাজির হয়ে এজাহার দায়ের করলে সূত্রোক্ত মামলা রুজু হয়। এ মামলায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্যাব-১১,সিপিসি-৩,নোয়াখালী এর চৌকস অভিযানিক দল অভিযানের মাধ্যমে লক্ষীপুর জেলার রামগতি থানাধীন চরলক্ষী ইউপির ৬নং ওয়ার্ডস্থ শনিগ্রাম এলাকা থেকে আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করে এবং ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থ্য গ্রহণের জন্য লক্ষীপুর জেলার রামগতি থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন আছে।
ডিআই/এসকে