
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ঈদ যাত্রা নিরাপদ করতে নৌপথে যাত্রা ও নাশকতা প্রতিরোধে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে নৌ পুলিশ বলে জানিয়েছেন নৌ পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি কুসুম দেওয়ান।
তিনি বলেন,টার্মিনালসহ দূরপাল্লার লঞ্চে বিশেষ করে রাতে নাশকতা না হয় সেজন্য নৌ পুলিশ কাজ করছে এবং সেনাবাহিনীও সহযোগিতা করছে।
বুধবার (১৯ মার্চ) নৌ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে আয়োজিত আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নৌপথে আইন-শৃংখলা ও নৌ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্তে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সভার শুরুতেই নৌ পুলিশের পক্ষ হতে নৌ পথে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দুর্ঘটনা প্রতিরোধ,পরিবেশ দূষণরোধ ও টিকিট কালোবাজারি, উচ্চমূল্য এবং চাঁদাবাজি প্রতিরোধে করণীয় বিষয় উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উপস্থিত প্রতিনিধি ও অনলাইনে সংযুক্ত নৌ পুলিশের ১১টি অঞ্চলের পুলিশ সুপারদের সঙ্গে আলোচনা হয়।
সভায় বক্তারা নির্বিঘ্নে ও নিরাপদ নৌপথ সংক্রান্তে বিভিন্ন বিষয়ে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। পবিত্র ঈদে নৌপথ ব্যবহারকারী ঘরমুখো মানুষের যাত্রা সহজ ও নিরাপদ করতে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে নৌ পুলিশ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
উল্লেখযোগ্য হলো- লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা থেকে বিরত থাকা, ছোট ও ত্রুটিপূর্ণ লঞ্চে যাত্রী পরিবহনে বিরত থাকা, লঞ্চে যাত্রী সংখ্যার আনুপাতিক হারে লাইফ জ্যাকেট, বয়া প্রভৃতির ব্যবস্থা রাখা, আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে নৌযান চালানো, চাঁদাবাজি, চুরিসহ যেকোনো হয়রানি বন্ধে বিশেষ নজরদারি বৃদ্ধি করা, নির্ধারিত মূল্যে ভাড়া আদায়ে তদারকি, টার্মিনাল ব্যতীত নদীর যেকোনো জায়গায় অন্য কোনো ছোট নৌযান হতে যাত্রী উঠানো বা নামানো বন্ধ নিশ্চিতকরণ ইত্যাদিসহ সকল নৌযানে পর্যাপ্ত ফায়ার ফাইটিং এবং সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সভায় নৌ পুলিশের প্রধান বলেন,আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের নৌপথে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে রাখতে নৌ পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করছে। টার্মিনালসহ দূরপাল্লার লঞ্চে বিশেষ করে রাতে নাশকতা না হয় সেজন্য পুলিশ কাজ করছে এবং সেনাবাহিনীও সহযোগিতা করছে।
লঞ্চ ও জাহাজে সিসি ক্যামেরা, জিপিএস সিস্টেম আছে কি-না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি জানতে চান।
মতবিনিময় সভায় বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থা, লঞ্চ মালিক সমিতি বাংলাদেশ, লঞ্চ মালিক সমিতি,বাংলাদেশ বাল্কহেড মালিক সমিতি, বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ লঞ্চ লেভার এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ট্যাংকার ওনার্স এসোসিয়েশন, স্পীডবোট মালিক সমিতি, স্পীডবোট পরিচালনা কমিটি, বাংলাদেশ নৌ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন, কোস্টাল-শীপ ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ কার্গো ট্রলার বাল্ক হেড শ্রমিক ইউনিয়ন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, নৌ পরিবহন অধিদপ্তর ও নৌপথের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ, ডিআইজি নৌ পুলিশ, অতিরিক্ত ডিআইজিবৃন্দ, অতিরিক্ত ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ, পুলিশ সুপার নৌ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ও এডিসি (ট্রাফিক) লালবাগ, ডিএমপি, নৌ পুলিশের সকল অঞ্চলের পুলিশ সুপারসহ নৌ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা সরাসরি ও ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।
ডিআই/এসকে