ঢাকা, সোমবার, ১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
ছিনতাইকারী আখ্যায় চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া মতিউর সম্পর্কে অজানা তথ্য
মোরেলগঞ্জে ক্লাইমেট-স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্ধোধন
নাইক্ষ্যংছড়িতে ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ বিতরণ
কলাপাড়া স্কাউটস মাল্টিপারপাস ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত
বাহুবলে বিরতিহীন বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ
কোরবানির পশু জবাইয়ে ইমামদের প্রশিক্ষণ দেবে উত্তর সিটি
কোরবানির আগে ডিএনসিসির ফুটপাত মেরামতের নির্দেশ
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না’
মোহাম্মদপুরে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান:পাটালি গ্রুপের সেকেন্ড ইন কমান্ডসহ গ্রেফতার ৪৪
ভারতের নিষেধাজ্ঞায় আখাউড়া স্থলবন্দর অচল অবস্থায়
নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতি সহ অন্য নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
মধুখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত যুবকের মৃত্যু
পরিচয় মিলেছে নড়াইলে রেললাইনের পাশে পড়ে থাকা রক্তাক্ত মরদেহটির
৩৪তম বিসিএস পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহী, সম্পাদক জুয়েল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল মেঘনা নদীর ভাঙনে দিশাহারা কয়েক’শ পরিবার

নবীনগরে যুবদল নেতার ছত্রছায়ায় আবারও দখল উৎসব, প্রশাসনের ভূমিকা রহস্যজনক

মো. সফর মিয়া,নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি;
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজারে আবারও দখলদারদের দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আবু কাউছার আহামেদ ও কিছু অসাধু প্রশাসনিক কর্মকর্তার মদদে কোটি টাকার অবৈধ বাণিজ্য চলছে!

মাত্র এক বছর আগে প্রশাসনের কঠোর অভিযানে বাজারের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনের নাকের ডগায় ফের রাতারাতি গড়ে উঠেছে শত শত দোকান। স্থানীয়দের অভিযোগ, যুবদল নেতা আবু কাউছার আহামেদ প্রশাসনের এক কর্মকর্তার সঙ্গে গোপনে চুক্তি করে দখলদারদের ফিরিয়ে এনেছেন। ফলে চলছে বাজারজুড়ে আবারও জমজমাট দখলবাণিজ্য!

গতকাল(মার্চ ১৮) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাজারের জেলা পরিষদের একমাত্র যাত্রী ছাউনির জায়গা দখল করে তিনটি দোকান নির্মাণ করা হয়েছে এবং সেগুলো ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বাজারের প্রতিটি দোকান থেকেই চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে আবু কাউছারের বিরুদ্ধে।

যুবদল নেতা আবু কাউছার আহামেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমার ভাই দোকানগুলো লিজ নিয়েছে। চাঁদাবাজির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”

এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, “বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীব চৌধুরী বলেন, “দখলের বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছিল। কিন্তু আবারও অবৈধভাবে দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। এমনকি জেলা পরিষদের যাত্রী ছাউনির মধ্যেও একটি অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে।এই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এদিকে বাঙ্গরা বাজারের দখলবাজি ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।

শেয়ার করুনঃ