
ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার তাড়াইল-নান্দাইল সড়কের যোগের হাওড় নামক স্থানে আঞ্চলিক রাস্তার পাশে গভীর গর্ত করে মাটি নিয়ে যাচ্ছে একটি অসাধু সিন্ডিকেট। সড়ক ও জনপথের জায়গা সহ সরকারি দখলীয় জায়গা ও নিজস্ব মালিকানার নিরীহ ব্যক্তিদেরকে নামমাত্র কিছু টাকা দিয়ে ভুল বুঝিয়ে সে মাটি ইটভাটা সহ অন্যান্য স্থানে মাটি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এ চক্রটি। প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই মাটি বিক্রি চলছে বলে এ বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে চায় না। সরকারি বিধি বিভ্রান্ত তথা ইমারত বিনির্মাণ বিধিমালাকে তোয়াক্কা করে রাস্তার পাশে গভীর (১৫/২০ফুট)গর্ত করে এ ভেটর (ভেকু) ব্যবহার করে মাটি তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সরকারি বিধি অনুযায়ী রাস্তার সীমানা থেকে ২০ ফুট দূরত্বের পাড় রেখে পুকুর খনন করার থাকলেও তারা পুকুর খননের নামে কোন পাড় না রেখেই গভীর গর্ত করে মাটি বিক্রি করাই তাদের আসল উদ্দেশ্য। ফলে উক্ত রাস্তায় দিয়ে চলাচলকারী কোন যানবাহন দূর্ঘটনার সম্মুখীন হলে উক্ত গর্তে পড়ে গিয়ে মারাত্মক দূর্ঘটনা সহ বহু প্রাণনাশের শঙ্কা রয়েছে। সরজমিন গিয়ে জানাগেছে, প্রশাসনকে
ম্যানেজ করেই তাড়াইল-নান্দাইল রাস্তার পূর্বদরিল্যা বাজার ও শিমুলতলা বাজারের মধ্যবর্তী যোগের হাওর নামক স্থানে রাস্তা পাশে এ মাটি কাটার কাজ চলছে। স্থানীয় বাসিন্দা রাসেল
মিয়া, মঞ্জিল মিয়া ও কাসেম মিয়া সহ আরও বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে মাটির বিক্রির ঠিকাদার জাবেদ মিয়া ও পারভেজ মিয়া তাদেরকে ভ‚ল বুঝিয়ে কিছু টাকা দিয়ে মাটি বিক্রি করছে।সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ভেটর (ভেকু) দিয়ে কাটা হয় মাটি। পরে তা ট্রাক্টর ও লড়ী করে বিভিন্ন ইটভাটা সহ অন্যত্র গর্তভরাটে তা বিক্রি করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে জমির মালিককে ১৫০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে প্রতি হাজার মাটির মূল্য। অথচ তারা (সিন্ডিকেট চক্র) প্রতি হাজার মাটি বিক্রি করছে ৬০০০ টাকা থেকে ৭০০০ টাকা পর্যন্ত। মূলত মাছ চাষের কোন উদ্দেশ্যে পুকুর খনন করা হচ্ছেনা বলেই গভীর গর্ত করে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। যা পুকুর খননের আওতায় পড়ে না। এ বিষয়ে ভেকুর মালিক শহিদ মিয়া বলেন, ‘আমি এখানে ঘন্টায় ১৫০০ টাকা হারে মাটি কেটে দিচ্ছি। আমাকে প্রশাসন নিষেধ করলে আমি ভেকু নিয়ে চলে যাবো। আর এটা প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই নাকি কাজ চলছে।’ জমির মালিকদের সাথে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে তারা কোন কথা বলতে নারাজ।তবে মাটি বিক্রির ঠিকাদার জাবেদ মিয়া বলেন, ইটভাটায় মাটি দিচ্ছি। আমরা গরীব মানুষ মাটি বিক্রি করে কিছু টাকা পাই। এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আলমগীর কবির বলেন, আমি স্বশরীরে গিয়ে তারেদকে বাধা প্রদান করেছি, তারা তা মানছেনা বলে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আর প্রশাসনকে ম্যানেজ করইে হচ্ছে তা ঠিক না। নান্দাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ফয়জুর রহমান বলেন, সরজমিন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল আহম্মেদ ফয়সাল জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। যেহেতু তারা বাধা মানছেনা, সেক্ষেত্রে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।