
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে পাচার কালে ফুলতলী ও লেবুছড়ি সীমান্তে অভিযানে চালিয়ে ২ হাজারাধিক সেট পোষাকসহ প্রায় ৯ লক্ষ টাকার পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি।
শনিবার ( ১৫ মার্চ) ধারাবাহিক অভিযানে ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে এ সব পণ্য জব্দ করে ১১ বিজিবির অধীনস্থ সীমান্তের এ ২ বিওপি জোয়ানরা।
বিওপি সূত্র জানায়, ১১ বিজিবির অধিনায়ক এস এম কফিল উদ্দিন কায়েস এর দিকনির্দেশনায় ফুলতলী ও
লেবুছড়ির বিজিবি জোয়ানরা অভিযানে নামে শুক্রবার রাত ও শনিবার সকালে।
এ সব সীমান্ত পিলাকার ৪৬,৪৭ ও ৫০ নম্বর সীমান্ত পিলার এলাকা। যে পয়েন্ট দিয়ে চোরাকারবারীরার দিনদিন বেপরওয়া হয়ে উঠেছে। যাদের গ্যাং লিডার রয়েছে ১০০ জনের অধিক।
তারাই এ অপকর্ম চালাচ্ছে।
এ ধরণের পাচারের সময় বিজিবি জোয়ানরা,এ দু’সীমান্ত পয়েন্টে অভিযানে নামলে তারা ১ হাজার ১ শত ৯১ জোড়া জুতো,২১২৬ সেট পোষাক,৪৪ পিস কলসী,শিশুদের খেলনা
৩০২ পিস ও মুবিল তেল ৭০ লিটার।
যার আনুমানিক মূল্য ৮ লক্ষ ৫৬ হাজার,৫৯২ টাকা।
স্থানীয়রা জানান রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের গর্জনিয়া বাজারের বেশ শতাধিক দোকানদার ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর বাজার, চাকঢালা বাজার, ঘুমধুম বাজার,তুমব্রু বাজার ও লেবুছড়ি বাজার থেকে সরাসরি মিয়ানমারে মালামাল পাচার হচ্ছে রাত-দিন। যাতে জড়িত অন্তত: ১০ হাজার চোরাকারাবারী।
আবার কিছু লোকাল মানুষের সাথে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কিছু রোহিঙ্গা দেশীয় পণ্য মিয়ানমারের পাচারের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টিও উঠে এসেছে । যার কারনে বিজিবির চোরাচালান প্রতিরোধে কঠোর নজরদারির থাকলেও চোরাচালান থেমে নেই। দিন রাত সমান তালে মিয়ানমারের পাচার করছে সয়াবিন তেল,পেট্রোল, ডিজেল,সার, দুধ,চিনি,ময়দা,চাউল,মোটরসাইকেল, ছোট বড় গাড়ির ফাস্টসহ বিভিন্ন প্রকারের খাদ্য পণ্য। বিনিময়ে বাংলাদেশে আসছে গরু, মাদকদ্রব্য। তবে সচেতন মহল সম্প্রতি বিজিবি কঠোর নজরদারি ও অভিযানকে সাধুবাদ জানান।
বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এস এম কফিল উদ্দিন কায়েস সাংবাদিকদের জানান, সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র, মাদকদ্রব্য, বিভিন্ন পণ্য ও বার্মিজ গরু জব্দে অভিযান চলমান আছে। অপরাধী যেই হোক ছাড় নয়।