
জমি-জমার বিরোধ নিয়ে বিষ খাইয়ে নিজ চাচাকে হত্যার চাঞ্চল্যকর ১নং এজাহারনামীয় পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছের র্যাব-৮, সিপিসি-১,পটুয়াখালী ক্যাম্প। জানা গেছে,
বরগুনা জেলার সদর থানাধীন বালিয়াতলি ইউপির ৯ নং ওয়ার্ডের পাতাকাটা এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার হাতে চাচা খুন হয়। গত চলতি অর্থ বছরের ফেব্রুয়ারী মাসের ৮ তারিখ রাত আনুমানিক ৮ টা থেকে ১০টার মধ্য এ জেলার বালিয়াতলি ইউপির ৯ নং ওয়ার্ডের পাতাকাটা এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে উক্ত ঘটনা ঘটে। এ
ঘটনার পর থেকেই র্যাব আসামি গ্রেফতারে তৎপর হয়।১০ মার্চ দুপুর ২ টা ১৪ মিনিটের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৮, সিপিসি-১ এর বিশেষ আভিযানিক দল পটুয়াখালী জেলার মহিপুর থানার নজিবপুর এলাকা থেকে মামলার ১নং আসামি ভিকটিমের আপন ভাতিজা সগির হোসেনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এজাহার পর্যালোচনায় ও র্যাব -৮ সিপিসি-১ পটুয়াখালী ক্যাম্প কর্তৃক প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি সুত্রে আরও জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ভিকটিম মৃত মোঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদারপিতা: মৃত ইউসুফ আলি হাওলাদার, সাং-পাতাকাটা, ইউনিয়ন বালিয়াতলি, বরগুনা সদর এর কোন ছেলে সন্তান না থাকায় ভাতিজারা ভিকটিমের জমি নিয়া বিরোধ সৃষ্টি করে আসছিল। ভিকটিমের মৃত্যুর পূর্বেও জমি নিয়া তার ভাতিজারা ভিকটিমকে মেরে পা ভেঙ্গে দিয়েছিল। ঘটনার দিন ভিকটিম তার মেয়ের বাড়ি হতে ভিকটিমের নিজের বাড়ির জমি দেখার জন্য যায়। ভিকটিম জমিতে গেলে পূর্বে থেকে উৎপাত পেতে তার ভাতিজারা ভিকটিমকে ধরে জোরপূর্বকবিষ খাওইয়া অচেতন অবস্থায় ঘরের ভিতর ফেলে রাখে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মেয়ে নাসরিন (৪০) ভিকটিমকে খোজাখুজি করে দেখতেনা পেয়ে পরিচিত ৩/৪ জনের সাথে পিতার নিজ বাড়িতে যায়। বাড়ির কাছাকাছি যাওয়ার পর কতিপয় লোকের কাছে তাদের বাড়িতে পুলিশ গেছে তা শুনতে পায়। তাড়াতাড়ি বাড়িতে গিয়ে পিতাকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে দ্রুত বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমের মুখে বিষের গন্ধ পেয়ে ওয়াশ করে বিষ বের করে এবং পরে ভিকটিম চিকিৎসারত অবস্থায় চলতি অর্থ বছরের ফেব্রুয়ারী মাসের ১০ তারিখ সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮ টার সময় মারা যান। পরবর্তীতে মৃত ভিকটিমের মেয়ে নাসরিন বাদী হয়ে বরগুনা বিজ্ঞ আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যাহা পরবর্তীতে সদর থানায় এফ, আই আর হিসেবে গন্য করা হয়। বরগুনা জেলার সদর থানার মামলা নং-১৬/৫৪, তারিখ-১৫/০২/২০২৫ইং ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।