
সাবেক প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান ঘনিষ্ঠ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ নেতা ও ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সামসুদ্দোহা শিমুকে গ্রেফতারে ঢাকায় রাতভর অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি দল।
রাজধানীর ভাটারার সাঈদনগর আবাসিক এলাকায় শিমুর বাড়িতে গত শনিবার রাতে ভাটারা থানা ও মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের যৌথ অভিযান পরিচালিত হয় বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়। তবে অভিযানের বিষয়টি বুঝতে পেরে আওয়ামী লীগ নেতা শিমু কৌশলে পালিয়ে যান। জানা যায়, টানা তিন ঘণ্টাব্যাপি এই অভিযান পরিচালিত হয়। বিস্ময়করভাবে নিজের আওয়ামী লীগ পরিচয় আড়াল করতে শিমু পরিবার একাধিক বিএনপি নেতার সাথে তাদের সম্পর্ক নিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম জানান, আওয়ামী লীগ নেতা শিমুর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে মামলা রয়েছে এবং আজ হোক অথবা আগামীকাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে গ্রেফতারের আওতায় আনবে।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি আলী ইফতেখার হাসান এ প্রসঙ্গে বলেন, শনিবার দিবাগত রাত ১ টার পরে আমরা সুনির্দিষ্ট তথ্য ও আসামী আওয়ামী লীগ নেতা শিমুকে ধরতে অভিযান পরিচালনা করি । কিন্তু তার বাড়ির দারোয়ান এবং স্ত্রী কণ্যার মাধ্যমে আসামী পুলিশের কাজে বারবার বাধার সৃষ্টি করে এবং আলো নিভিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায় । আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আসামী ধরা পুলিশের নিয়মিত কাজের অংশ । আমরা সেই কাজ করবো।
প্রসঙ্গত শাহজালাল ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা সামসুদ্দোহা শিমু বিভিন্ন সময়ে সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে ছিলেন। বর্তমানে তিনি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ।
তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমানের ঘনিষ্ঠজন। সর্বশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনে শিমু আব্দুর রহমানের পক্ষে ফরিদপুর-১ আসনে বাপক তৎপরতা চালান । শিমু নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও দুজনে একসঙ্গে তোলারাম কলেজে ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন ।
সামসুদ্দোহা শিমু মানবতা বিরোধী অপরাধে গ্রেফতার হওয়া সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়।
ডিআই/এসকে