পটুয়াখালীর বদরপুর ইউপির শিয়ালী গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে উত্যক্ত কে কেন্দ্র করে তার ভাই ও মা এর উপর হামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত। জানা গেছে, এ সংবাদ সম্মেলন টি অনুষ্ঠিত হয় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে ১ মার্চ শনিবার বেলা ১১ টায়। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে এ ছাত্রীর বাবা মানিক প্যাদা সাংবাদিকদের বলেন, ঐ ছাত্রীর চাচাতো ভাই হাসিব প্যাদা বিগত দিনে অনেক বার তাকে উত্যাক্ত করে আসছিল।
সর্বশেষ উক্ত হাসিব প্যাদা গত ২৪ ফেব্রুয়ারিএ ছাত্রীটির সাথে একই আচরন করতে শুরু করে। এমন সময় ছাত্রী টির মা মোসাঃ রেকসনা বেগম ঘটনাস্থলে এসে প্রতিবাদ জানায়। আর এই প্রতিবাদ জানানোই কাল হয় তাদের পরিবারে জন্য। ঐ একই দিন বাড়ি ফেরার পথে উত্ত্যক্তকারী হাসিব প্যাদা, তার বাবা জসিম প্যাদা সহ ৬ থেকে ৭ জনের একটি দল মিলে ছাত্রী টির
বড় ভাই শাহজাদা তার মা রেকসনা বেগমের উপরে লাঠিসোটা ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ হামলায় রেকসনা ও তার ছেলে শাহাজাদা গুরুতর আহত হলে তাদের পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেফতার ও তাদের বিচারের দাবী জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রী টির বাবা আরও বলেন, তিনি পেশায় একজন ভাঙ্গারি ফেরিওয়ালা। এই কাজ করেই তার পরিবারের ভরণ পোষণ করেন ও তার সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তিনি ও তার চাচাতো মামা জসিম প্যাদা তার ভাইয়েরা , তার ছেলে হাসিব প্যাদা এবং তিনি স্ত্রী সন্তান নিয়া একই বাড়ির পাশা পাশি ঘরে বসবাস করেন। একই বাড়ীতে থাকার কারনে বাড়ির বিভিন্ন বিষয়ে তারা তাদের শত্রু মনে করে। এ ঘটনার রেশ ধরে হাসিব প্যাদা তার নাবালিকা ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ুয়া মেয়েকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের খারাপ ভাষা ব্যবহার ও অশ্লীল আচরণ করে আসছে জসিম প্যাদার ছেলে হাসিব প্যাদা। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হাসিব তার মেয়ের সাথে ওই একই আচরণ করে। তার স্ত্রী ঘটনাটি জানতে পেরে প্রতিবাদ জানায়। আর এরপরে ওইদিন সন্ধ্যার দিকে তার ছেলে শাহাজাদা ও তার স্ত্রীকে রাস্তার মধ্যে আটকে
বেধরক মারধোর শুরু করে। এসম মোঃ জসিম প্যাদা তার স্ত্রীর মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। তার ছেলের হাত ভেঙে ফেলে। এসময় রিয়াজ প্যাদা, মোসাঃ হাসিনা বেগম, ও মোঃ সোহেল তার স্ত্রীর গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্নের চেইন যার মূল্য আনুমানিক ৭২ হাজার টাকা তার কানে থাকা ৬ আনা ওজনের স্বর্নের কানবালা যার মূল্য অনুমান ৫০ হাজার টাকা ও তার ছেলের জামার পকেটে থাকা ৫০০০ হাজার টাকা নিয়া যায়। তার স্ত্রী ও ছেলে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। তিনি এ ঘটনায় ৭ জনকে আসামি করে পটুয়াখালী থানায় মামলা করেছেন। কিন্তু সকল আসামিরা খোলামেলাভাবে বুক ফুলিয়ে রাস্তায় হাঁটছে। তাদের হুমকি ধামকিও দিচ্ছে প্রায়ই। কিন্তু মামলার পরেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বর্তমানে তিনি তার সন্তানদের জীবন নিয়ে শঙ্কিত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। তার দাবি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হয়।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে মুঠোফোনে সাংবাদিকরা এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি তাদের বলেন , মামলা গ্রহন করেছি। প্রথমে মামলাটির দায়িত্বে যেই অফিসার ছিলেন তাকে নিয়ে মামলা দায়েরকারীর একটু আপত্তি থাকায় মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার পরিবর্তন করে দেয়া হয়েছে। বাদিও বিবাদীরা একই বাড়ির। তবে যে অপরাধি তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।