ঢাকা, রবিবার, ১৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
জুলাই বিপ্লবে আহতদেরকে পুনাকের আর্থিক সহায়তা
কালিগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি মনোনীত শেখ সাইফুল বারী সফু
কৃষ্ণনগর বিএনপির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
“হিজবুল আরাফাত” হাজী সংগঠন’র নবগঠিত কমিটির পরিচিত সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
নড়াইলে ১০ দফা দাবিতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিক্ষোভ, মানববন্ধন
নান্দাইলে রাস্তার পাশে গভীর গর্ত করে মাটি নিয়ে যাচ্ছে সিন্ডিকেটরা
কুড়িগ্রামে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সনাকে’র মানববন্ধন
মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কায়বা ইউনিয়ন বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলন
বাগআঁচড়ায় মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কায়বা ইউনিয়ন বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলন
রমজানে রাস্তা-ঘাট অবরোধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করার আহবান
হোমনায় যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
রাজাপুরে বিএনপির উদ্যোগে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিল
ঝালকাঠির সাবেক পিপি আবদুল মান্নানের জামিন নামঞ্জুর, তিন মামলায় কারাগারে
রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার,২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার ১৪৮
মোরেলগঞ্জে ২’ শত হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ছাগল বিতরণ

২০২৭ সালের মধ্যে সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দিলেন সরকার

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি’) বাংলাদেশে একটি সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। ১৮ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি মরক্কোর মারাকাসে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স অন রোড সেফটি অনুষ্ঠানে গতকাল (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে ৪র্থ বিশ্ব সড়ক নিরাপত্তা সম্মেলনে এই প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশের সচিবালয় সুত্রে জানা যায়, ২০২৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশে একটি সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হবে। সরকার ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশে একটি জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কৌশলগত কর্মপরিকল্পনাও রয়েছে, যার লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা ৫০% কমিয়ে আনা। সরকার ২০৩০ সালের লক্ষ্যসমূহ, বিশেষ করে লক্ষ্য ৩.৬ এবং ১১.২ অর্জনের জন্য ধারাবাহিক পদক্ষেপ গ্রহণের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ৩ ও ১১ অর্জনে সড়ক নিরাপত্তার ভূমিকা স্বীকার করেছে। এই লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক মহলে প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করছে। বাংলাদেশ ২০২৭ সালের মধ্যে প্রথম জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা আইন চূড়ান্ত ও অনুমোদন করবে, যা নিরাপদ ব্যবস্থা (সেইফ সিস্টেম এ্যাপ্রোচ) অনুসরণ করে প্রণয়ন করা হবে।

বাংলাদেশ ২০২৬ সালের মধ্যে একটি কেন্দ্রীয় তথ্যভিত্তিক ডাটা বেজ ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। যেখানে সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ করা হবে। ২০২৬ সালের মধ্যে একটি গতি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা প্রণয়ন করবে, যা ২০২৪ সালের মোটরযান গতি সীমা নির্দেশিকার কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে। মানসম্মত হেলমেট ব্যবহারের জন্য ২০২৬ সালের মধ্যে একটি বাস্তবায়ন ও প্রয়োগ নির্দেশিকা তৈরি করবে।

এই সম্মেলনে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হক, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্টের পরিচালক নাজনীন হোসেন, গ্লোবাল রোড সেফটি অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড গ্রান্টস প্রোগ্রামের ম্যানেজার তাইফুর রহমান, গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর ড. শরিফুল আলম, নিরাপদ সড়ক চাই’র (নিসচা) প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, ব্র্যাক রোড সেফটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার খালিদ মাহমুদ ও সিআইপিআরবি’র ড. সেলিম মাহমুদ চৌধুরীসহ বাংলাদেশ থেকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধি এবং বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছে।

মূলত, বর্তমানে দেশে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো আইন বা বিধি নেই। তাই এই বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০২৭ সালেল মধ্যে একটি সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করবে।

অন্যদিকে,তৃত্বীয় বিশ্ব যুব সম্মেলনে আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের সমন্বয়কারি মারজানা মুনতাহা ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের কমিউনিকেশন অফিসার আবু জাফর অংশগ্রহণ করে। এসময় বাংলাদেশের নিরাপদ সড়কে তরুণদের কার্যক্রম তুলে ধরেন তারা।

ডিআই/এসকে

শেয়ার করুনঃ