ঢাকা, সোমবার, ১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত আইজিপি হলেন ১২ পুলিশ কর্মকর্তা
ভারতের নিষেধাজ্ঞায় উদ্বিগ্ন আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি নিহত ছাত্রদল নেতা নয়নের পরিবারের দায়িত্ব নিল
পঞ্চগড়ের বোদায় ৩১ শয্যার জনবলে চলছে ৫০ শয্যার হাসপাতাল
চট্টগ্রাম প্রবাসী ক্লাবের বর্ধিত সভা
পাঁচবিবিতে ধুরইল আইডিয়াল প্রি-ক্যাডেট স্কুলে পুরস্কার বিতরণ
মিরপুরের বস্তিতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে
রাজধানীতে ৭০৪ জন আনসার-ভিডিপি সদস্যকে নিয়ে টিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু
এলজিইডির প্রকল্পের টাকায় স্ত্রীকে গাড়ি-বাড়ি কিনে দিচ্ছেন পরিচালক
মিরপুরের বস্তিতে আগুন
খুলনায় যানজটমুক্ত নগরী গড়তে ইজিবাইক চালকদের প্রশিক্ষণ
আ.লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয় এলাকায় মিছিলের চেষ্টা, ১১ নেতাকর্মী আটক
জলঢাকায় কিশোরীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা
তানোরে লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ৬ জনের নামে হত্যা মামলা গ্রেপ্তার ৩ জনকে জেল হাজতে প্রেরন
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে আমিন বাজার ল্যান্ডফিল আকস্মিক পরিদর্শন করেন ডিএনসিসি প্রশাসক

জুলাই আন্দোলনে বিতর্কিত পোস্ট: কলাপাড়ায় চিকিৎসকের শাস্তি ও অপসারণের দাবিতে গণস্বাক্ষর

কলাপাড়া (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।।পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে পদোন্নতি পেয়ে সদ্য যোগদান করা চিকিৎসক ড. জে এইচ খান লেলিনের অপসারণ ও শাস্তির দাবীতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার(১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে কলাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মাঠে এ গণস্বাক্ষর কর্মসূচির আয়োজন করেন কলাপাড়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।এর আগে গত মঙ্গলবার ১২ ফেব্রুয়ারি সকালে একই দাবিতে কলাপাড়া প্রেসক্লাব সংলগ্ন সড়কে মানববন্ধন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কলাপাড়ার সমন্বয়করা।লেলীনকে নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক কথাবার্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। তার নিজস্ব ফেসবুক আইডি থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় দেয়া একটি পোস্টকে ঘিরে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। দ্রুত বিষয় টি ভাইরাল হয় যেখানে লেখা রয়েছে ‘ দে দে মরন কামড় দে, দেরি করিস না। অস্তিত্বে বাংলাদেশ শেখ হাসিনা।এই লেখার সাথে ডাক্তার জে এইচ খান লেলিনের ছবি যোগ করে তাকে স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে উল্লেখ করে উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক হিসেবে পদোন্নতি বাতিলের দাবি করা হয়েছে। কেউ বা বিচার দাবি করেছেন।অভিযোগ রয়েছেন, তিনি দীর্ঘ এক যুগের ও বেশি কলাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার হিসেবে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় বিগত আ.লীগ সরকারের তৎকালীন নেতাদের যোগসাজশে হয়ে ওঠেন বেপরোয়া। কয়েক বছরে তার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ ওঠে। রোগীদের সাথে অসদাচরণ, টেস্ট বানিজ্য, সরকারি জমি বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ, অবহেলায় তার হাতে মৃত্যু হয়েছে অনেক রোগী এমন অহরহ অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন রকম টেস্ট দিয়ে তার নিজস্ব ক্লিনিক ম্যাক্স এবং কলাপাড়া ক্লিনিকে টেস্ট করাতে বাধ্য করেন রোগীদের।অভিযোগ রয়েছে , ২০২১ সালে ডা. লেলিনের ভুল চিকিৎসায় নবজাতকসহ রুনা (২০) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর হয়। মৃত্যু প্রসূতি রুনা কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের টুঙ্গিবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা জসিমের স্ত্রী।২০২২ সালে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পাউবোর সরকারি জায়গার পজিশন বিক্রি করে ১৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে মামলাও হয়েছিলো। কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শোভন শাহরিয়ারের আদালত এ বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), পটুয়াখালীকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন, কিন্তু অদৃশ্য কারণে বিচার কাজ থেমে যায়।উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা গ্রামের মোসা. মরিয়ম জাহান নূপুর প্রতারণা ও আত্মসাতের অভিযোগে ডা. লেলিনের নামে এ মামলা দায়ের করেন।২০২৩ সালে তার ভুল চিকিৎসায় স্বপন সিকদার নামের এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছিলেন উপজেলা আইনজীবী কল্যাণ সমিতি। এ কর্মসূচিতে স্বপন সিকদারের স্বজন ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা ছাত্র প্রতিনিধি মাশরাফি কামাল শাফি বলেন, ফ্যাসিস্টের দোসর লেলিনের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির আয়োজন করেছি। গত মঙ্গলবার একই দাবিতে কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছি। আজ গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে উপজেলার ৮০০ মানুষ সাক্ষর করেছেন। আমরা এগুলো জেলা প্রশাসক , সিভিল সার্জন ও উপজেলা প্রশাসন বরাবর প্রেরণ করবো। তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন রকম কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।এ বিষয়ে ড. লেলিন বলেন, ল্যাব সংশ্লিষ্ট কেউ ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল করতে আমার বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এ সময় তিনি মুঠোফোনে কলাপাড়া ও ম্যাক্স ক্লিনিকে তার শেয়ারের কথাও অস্বীকার করেন।এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ড. হুমায়ুন কবির বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনো লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুনঃ