ঢাকাসহ সারাদেশে শুরু হওয়া ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ ৩৪৩ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। একই সময়ে অন্যান্য মামলা ও ওয়ারেন্ট মূলে আরও ১ হাজার ১৭৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান।
তিনি জানান,‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’গ্রেফতার করা হয়েছে ৩৪৩ জনকে। এছাড়া এই বিশেষ অপারেশনসহ অন্যান্য অভিযানে গতকাল রাত থেকে আজ পর্যন্ত ১ হাজার ৫২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অপারেশন ডেভিল হান্টে উদ্ধার যত অস্ত্র
একটি বিদেশি পিস্তল,দুটি ম্যাগাজিন,১১ রাউন্ড গুলি, ৬টি শর্টগান কার্তুজ,তিনটি ছুরি,তিনটি তলোয়ার,একটি কুড়াল,১০টি ককটেল,৮টি লাঠি,৪টি রড এবং ৪টি রামদা উদ্ধার করা হয় বলে জানান ইনামুল হক সাগর।
উল্লেখ্য, ডেভিল অর্থ হচ্ছে‘শয়তান’ আর হান্ট অর্থ ‘শিকার’। ডেভিল হান্ট, যার ইংরেজি শাব্দিক অর্থ গিয়ে দাঁড়ায় ‘শয়তান শিকার’ করা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত ডেভিল হান্ট বলতে,দেশবিরোধী চক্র,সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনতে বুঝানো হয়েছে।
অপারেশন ডেভিল হান্ট একটি বিশেষ অভিযান। যা ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলা করে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। এই হামলায় নেতৃত্ব দেয় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। হামলার ফলে বেশ কয়েকজন হতাহত হন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে।
ঘটনার পরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়,আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামক বিশেষ অভিযান শুরু হয়।
রবিবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর জানায়,‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’সহ পুলিশের বিভিন্ন অভিযানে রবিবার দুপুর পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৩০৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ডিআই/এসকে