
ডেস্ক রিপোর্ট:
একপেশে মেজাজে লড়াইয়ের মাঝে চিটাগাং কিংসের দুর্দান্ত ব্রেকথ্রু, এরপর ঘুরে দাঁড়িয়ে পাল্টা লড়াই ফরচুন বরিশালের। এরই মাঝে বাড়তি বিস্ময় ছিল চিটাগাংয়ের অদ্ভুতুড়ে ফিল্ডিং। ফলে নাটকীয় এক ম্যাচে ৩ বল এবং ৩ উইকেট হাতে রেখেই বিপিএলে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তামিম ইকবালের বরিশাল। বিপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৯৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শিরোপা জিতেছে দলটি।
জয়ের জন্য শেষ ৩ ওভারে ২৫ রান দরকার ছিল বরিশালের, হাতে ৬ উইকেট। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার কাইল মায়ার্স এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ উইকেটে থাকায় জয়টা একরকম হাতের মুঠোয়ই ছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। তবে ১৮তম ওভারে বোলিংয়ে এসে সমীকরণ একেবারে পাল্টে দেন শরিফুল ইসলাম। ওই ওভারে মায়ার্স এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে আউট করার পাশাপাশি পাঁচ রান দিয়ে চিটাগংকে ম্যাচে ফেরান শরিফুল।
১৯তম ওভারের প্রথম ৩ বলে কেবল ৩ রান নিতে পারে বরিশাল। উইকেটে তখন মোহাম্মদ নবি ও রিশাদ হোসেন। দুজনই উইকেটে একদম নতুন। সবদিক বিবেচনায় ম্যাচটা তখন অনেকটাই হেলে পড়েছিল চিটাগংয়ের দিকে।
তবে পরের গল্পটা পুরোটাই রিশাদের বীরত্বের। ১৯তম ওভারের চতুর্থ বলে দুর্দান্ত এক ছক্কা মেরে চাপ সরিয়ে বরিশালকে আবার চালকের আসনে বসান এই বোলিং অলরাউন্ডার। মিস ফিল্ডিংয়ের সুবাদে পরের বলে নেন ৩ রান। বরিশালের তখন দরকার ৭ বলে ৮ রান। তবে এই সহজ সমীকরণকে আবারও কঠিন করে তোলেন মোহাম্মদ নবি, ১৯ তম ওভারের শেষ বলে আউট হয়ে।
শেষ ওভারে স্বীকৃত অলরাউন্ডার বলতে উইকেটে ছিলেন কেবল রিশাদ। অন্যপ্রান্তে তানভীর ইসলাম। দলকে জেতাতে রিশাদকেই কিছু করতে হতো। আর চাপের মুহূর্তে সেটা করেও দেখালেন রিশাদ। শেষ ওভারের প্রথম বলেই দুর্দান্ত এক ছক্কা মেরে লক্ষ্যটা ৫ বলে দুইয়ে নিয়ে আসেন এই অলরাউন্ডার। পরের বলে নেন সিঙ্গেল নিয়ে রান নিয়ে আসেন সমতায়। আর শেষ ওভারের চতুর্থ বলে হুসাইন তালাতের করা ওয়াইড বলের সুবাদের টানা দ্বিতীয় শিরোপা নিশ্চিত করে বরিশাল।
মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএলের একাদশ আসরের ফাইনাল ম্যাচে চিটাগং কিংসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিতেছে তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ঝড় তোলেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তবে ওপর প্রান্তে তাওহীদ হৃদয় ছিলেন একটু সাবধানী। পাওয়ারপ্লেতে দুজনে মিলে ৫৭ রান তুলে দারুণ শুরু এনে দেন বরিশালকে।
দারুণ শুরুর পর নবম ওভারে প্রথম উইকেট হারায় বরিশাল। একই ওভারে তামিম ইকবাল এবং ডেভিড মালানকে ফিরিয়ে শরিফুল ইসলাম একাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন। দ্রুত সময়ের ব্যবধানে ফেরেন তাওহীদ হৃদয়ও। ২৮ বলে ৩২ রান করেছেন তিনি। আর ১ ছক্কা ও ৯ চারে ২৯ বলে ৫৪ রান করেছেন তামিম।
দ্রুত ৩ উইকেট হারালেও বরিশালের ছন্দপতন হয়নি। মিডল অর্ডারে হাল ধরেন কাইল মায়ার্স। ৩ ছক্কা ও ৩ চারে ২৮ বলে ৪৬ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান এই অলরাউন্ডার দলকে জয়ের পথেই রাখেন। তবে ১৮তম ওভারে আবারও বরিশালকে বিপদে ফেলেন শরিফুল।
শেষ ২ ওভারে বরিশালের প্রয়োজন ছিল ২০ রান।