ঢাকা, সোমবার, ১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
শ্যামনগরে নারী কৃষকদের দক্ষতা উন্নয়নে জলবায়ু সহনশীল কৃষি প্রশিক্ষণ
বংশালে পেট্রল ঢেলে বাসে আগুন, গ্রেফতার ৩
মোরেলগঞ্জে উপজেলা পর্যায় ইভলভ্’র কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ছিনতাইকারী আখ্যায় চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া মতিউর সম্পর্কে অজানা তথ্য
মোরেলগঞ্জে ক্লাইমেট-স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্ধোধন
নাইক্ষ্যংছড়িতে ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ বিতরণ
কলাপাড়া স্কাউটস মাল্টিপারপাস ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত
বাহুবলে বিরতিহীন বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ
কোরবানির পশু জবাইয়ে ইমামদের প্রশিক্ষণ দেবে উত্তর সিটি
কোরবানির আগে ডিএনসিসির ফুটপাত মেরামতের নির্দেশ
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না’
মোহাম্মদপুরে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান:পাটালি গ্রুপের সেকেন্ড ইন কমান্ডসহ গ্রেফতার ৪৪
ভারতের নিষেধাজ্ঞায় আখাউড়া স্থলবন্দর অচল অবস্থায়
নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতি সহ অন্য নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
মধুখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত যুবকের মৃত্যু

১৩ মাস বিদেশে থাকার পরেও হাজিরা খাতায় শিক্ষিকার স্বাক্ষর

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার শিক্ষিকা নাজমা খাতুন ১৩ মাস বিদেশে থাকার পরেও হাজিরা খাতায় নিয়মিত স্বাক্ষর দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রথমে অসুস্থতার ছুটি নিয়ে তিনি বিদেশ যান। পরে মাতৃত্বজনিত ছুটি নিয়ে মোট ১৩ মাস বিদেশে খাটিয়ে আসেন। সেখান থেকে তিনি টেস্টউিবে বাচ্চা নিয়ে দেশ ফিরেন শিক্ষিকা নাজমা খাতুন। এমনকি বিলের স্বাক্ষর খাতায় স্বাক্ষর করে নিয়মিত বেতন ভাতাদি উত্তোলন করারও গুরুতর অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। তবে শিক্ষিকার দাবি তিনি ছুটিতে যাননি, তাই যথা নিয়মে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেছেন। জানাগেছে, শিক্ষিকা নাজমা খাতুনের বাড়ি নান্দাইল উপজেলার শেরপুর গ্রামে। তিনি নান্দাইল উপজেলা পৌর সদরে অবস্থিত আচারগাঁও ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। শিক্ষিকা নাজমা খাতুন গত ২০২২ এর ১ ফেব্রুয়ারী অসুস্থতা জনিত কারণে ২ সপ্তাহের জন্য ছুটি নেন। ছুটি নিয়ে তিনি ভারতে যান। সেখানে থাকাবস্থায় একই সনের সেপ্টেম্বর মাস থেকে তিনি মাতৃত্বজনিত ছুটিতে যান। এভাবে দীর্ঘ ১৩ মাস সেখানে অবস্থানের পর গত ২০২৩ এর ফেব্রুয়ারী দেশে ফিরে কাজে যোগদান করেন। ছুটিতে থাকাবস্থায় হাজিরা খাতায় ওই শিক্ষিকার স্বাক্ষরের ঘর যথারীতি খালি থাকে (যার ৬ মাসের ফটোকপি এ প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে)। শুধু তাই নয় প্রতি মাসে মাদ্রাসা কর্তৃক দাখিল করা বেতন ভাতাদির বিলেও শিক্ষিকার স্বাক্ষর দিতে দেখা গেছে। তবে একটির সাথে অন্য মাসের স্বাক্ষরের মিল নেই। অভিযোগ রয়েছে নাজমাকে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে তাঁর বেতন ভাতাদি তুলে নিয়েছে অন্যকেউ। তিনি তো সন্তান সম্ভবা ছিলেননা তাহলে ডাক্তারি সনদ ছাড়া ছুটি পেলেন কি করে। এছাড়া,অত্র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল হাই তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে কামযোগ্যতা সহ নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ। যা তদন্ত প্রতিবেদন শেষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের
প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এদিকে নাজমা খাতুন জানান, তিনি কোন প্রকার ছুটি নেননি বা কোন দেশেও যাননি। যেহেতু ছুটি নেননি তাই হাজিরা খাতায় নিয়মিত স্বাক্ষর করেছেন। পরবর্তীতে এ প্রতিনিধির সাথে দেখা করে তাঁর ছুটির বিষয় নিয়ে পত্রিকায় কোন সংবাদ না লিখার অনুরোধ করেন। এ বিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল হাই বলেন, তিনি (নাজমা) ছুটি নিয়েছিলেন। তবে ব্যস্ত আছেন, মিটিংয়ে আছেন বলে ফোনকল কেটে দেন। নান্দাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম ভূইয়া জানান, ছুটি নিতেই পারেন কিন্তু খাতায় স্বাক্ষর করবেন কেন বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। খোঁজ নিয়ে সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। আচারগাঁও ফাজিল মাদ্রাসার গর্ভনিং বডির বর্তমান সভাপতি ও ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) লুৎফুন্নাহারের কাছে নাজমা খাতুন সহ অন্যান্য অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার মনে পড়ছেনা, অভিযোগকারীকে বলবেন তিনি যেন আমার সাথে যোগাযোগ করেন ।

শেয়ার করুনঃ