ঢাকা, রবিবার, ৬ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
শাহবাগে ফুলের দোকানে আগুন: ঝুলন্ত বৈদ্যুতিক সংযোগ ও হাইড্রোজেন সিলিন্ডার ছিল বিপদের কারণ
সরকারি সফরে রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়া গেলেন সেনাপ্রধান
বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির ১১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
পঞ্চগড়ের বোদায় গুম, খুন, ছিনতাই, ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল
ফুলবাড়ী পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যদের নিয়ে ঈদ পূর্ণমিলনী
চাঁদাবাজির অভিযোগে কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদককে শোকজ
রাজধানীর’ খেতাপুড়ি ‘দখল করেছে পটুয়াখালীর ঝাউবন
ঝিকরগাছায় কিশোরকে বস্তা কিনতে পাঠিয়ে ভ্যান নিয়ে চম্পট
১৭ বৎসর আন্দোলন সংগ্রাম করেছি ,দরকার হলে আবারো নামা হবে: আজিজুল বারী হেলাল
পাঁচবিবিতে মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন জামায়াতের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
টিআরসি নিয়োগে দালালমুক্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার আশ্বাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপারের
উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটে রোগীদের দূর্ভোগ
চিলমারীতে ঐতিহ্যবাহী অষ্টমির স্নান সম্পন্ন
বিএনপি নেতার ওপর বোমা হামলার প্রতিবাদে কয়রায় বিক্ষোভ মিছিল
লঞ্চে মুমূর্ষ নবজাতককে মেডিকেল সহায়তা প্রদান করল কোস্ট গার্ড

ভুল রিপোর্টে পা হারাল এক শিক্ষার্থী

পিরোজপুরের নেছারাবাদে(স্বরূপকাঠি) হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভুল রিপোর্টের কারণে মো. জিহাদুল ইসলাম (১৪) নামের এক স্কুল শিক্ষার্থী পা কেটে ফেলতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারী) জিহাদের সহপাঠীরা ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টার ঘেরাও করে। পরে সেটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

জিহাদ উপজেলার সোহাগদল গ্রামের মো. আমিনুল ইসলাম মিলন মিয়ার ছেলে।

সে স্বরূপকাঠি কলেজিয়েট অ্যাকাডেমির নবম শ্রেণির ছাত্র।
জিহাদের বাবা মিলনের জানান , ২০ দিন আগে তার ছেলে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে ডান পায়ে ব্যথা পান। চিকিৎসার জন্য তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডান পায়ের গোড়ালি এক্সরে করার জন্য প্রেসক্রিপশন লিখে দেন। পরীক্ষা করানোর জন্য তারা জিহাদকে হাসপাতাল সংলগ্ন হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিয়ে যান।

সেখানে টেকনেশিয়ান তার পায়ের গোড়ালির পরিবর্তে হাটুর এক্সরে করেন। হাসপাতালের ডাক্তার সে রিপোর্ট অনুযায়ী হাঁটু ব্যান্ডেজ করে দেন।
কয়েকদিন পর তার পায়ে পচন ধরে। অবস্থা খারাপ দেখে চিকিৎসার জন্য ঢাকার পিজি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখতে পায় জিহাদের পায়ের গোড়ালির রগ ছিড়ে গিয়েছিল।

ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভুল রিপোর্টের কারণে ভুল চিকিৎসায় তার পায়ের ভেতর পচে গেছে। পরে সেখানকার ডাক্তাররা বোর্ড বসিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে জিহাদের পা হাঁটু পর্যন্ত কেটে ফেলেছেন। এ ঘটনায় উপযুক্ত বিচার চান জিহাদের বাবা।
হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক মো. মাসুদ রানা বলেন, ‘ওই ছেলের কথামতো এক্সরে করে দিয়েছি। ডাক্তারের দেয়া প্রেসক্রিপশন দেখে এক্সরে না করায় আমাদের ভুল হয়েছে।’

এ বিষয়ে নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জেলার সিভিল সার্জনের সাথে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

শেয়ার করুনঃ