ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
নওগাঁয় রাতের অন্ধকারে সড়কে পথরোধ করে দুটি মোটরসাইকেল ছিনতাই
খেলাধুলা যুব সমাজকে মাদক ও অপরাধ থেকে দূরে রাখে:এমপি প্রার্থী রাশেদুল আলম সবুজ
বেতাগীতে দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক দ্বিতীয় রাউন্ডের বিতর্ক প্রতিযোগিতা সম্পন্ন
জীবননগরে ৭ কোটি ২২ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা
আমতলীতে স্কুলের ওয়াল ভেঙ্গে নির্মান সামগ্রী চুরি
ঘোড়াঘাটে সেনাক্যাম্প স্থাপনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
ঘোড়াঘাটে সেনাবাহিনীর বিনামূল্যে চিকি ৎসা সেবা ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
জলঢাকায় দারিদ্র্য বিমোচনে সামাজিক নিরাপত্তা সেমিনার
শেরেবাংলা নগর থানায় নতুন ওসি
শ্যামনগরে নারী কৃষকদের দক্ষতা উন্নয়নে জলবায়ু সহনশীল কৃষি প্রশিক্ষণ
বংশালে পেট্রল ঢেলে বাসে আগুন, গ্রেফতার ৩
মোরেলগঞ্জে উপজেলা পর্যায় ইভলভ্’র কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ছিনতাইকারী আখ্যায় চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া মতিউর সম্পর্কে অজানা তথ্য
মোরেলগঞ্জে ক্লাইমেট-স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্ধোধন
নাইক্ষ্যংছড়িতে ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ বিতরণ

কোটচাঁদপুর কাঠ বয়লার মেশিন বিস্ফোরণে আহত পিতা, চিকিৎসার সহযোগিতা চাইলেন ছেলে

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি : কোটচাঁদপুরে কাঠ বয়লার মেশিন বিস্ফোরণ ট্র্যাজিডি থেকে বেঁচে যাওয়া আলমগীর হোসেন (৪৫)। গভীর ক্ষত নিয়ে যশোর কুইন্স হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছেন তিনি। সকলের সহযোগীতায় চলছে চিকিৎসা। তবে পুরোপুরি সুস্থ্য হতে প্রয়োজন আরো দুটি অপারেশন। যার ব্যয় মেটানো তাদের পক্ষে কোন রকম সম্ভব না। এ কারনে পিতার সুস্থ্যতায় সহযোগিতা চাইলেন ছেলে পারভেজ হোসেন।সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, গেল ১৪ জানুয়ারি বিকেল ৫.৩০ মিনিটের সময় কোটচাঁদপুরের মোবাশ্বের মিয়ার তালমিলের পাশে কাঠ বয়লার মেশিন বিস্ফোরিত হয়। ওই ঘটনায় মারা যান রাম মল্লিক (৫০) ও মিল্টন বিশ্বাস (২৫)। আর গুরুতর আহত হন আলমগীর হোসেন (৩৫)। ওই সময় স্বজনরা তাঁকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাকে দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। যশোর হাসপাতালের চিকিৎসায় কোন উন্নতি না হলে ঢাকায় রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা।ওই দিনই আলমগীরকে ঢাকায় নিয়ে যান তাঁর স্বজনরা। ওখানে চিকিৎসকরা তাঁকে দেখে চিকিৎসা পত্র দিয়ে বাড়িতে পাঠান। এরপর আবারও অসুস্থ্য হলে তাকে নিয়ে গিয়ে যশোর কুইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি কুইন্স হাসপাতালের ৪র্থ তলার ৩১৪ নাম্বার কক্ষে শরীরের ক্ষত নিয়ে বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছেন।ছেলে পারভেজ হোসেন বলেন, ওই দূর্ঘটনার পর থেকে দুই লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এখনো দুইটি অপারেশন করতে হবে। যার জন্য প্রয়োজন ৫ লাখ টাকা। যা আমাদের পক্ষে কোন ভাবেই সম্ভব না।

তিনি বলেন, আমি, আমার পিতা, আর মা। তিন জনের সংসার ছিল আমাদের। পিতা ছিল একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষ। তারপরও আমরা ভালই ছিলাম। গেল ৪ বছর হল মা স্ট্রোক জনিত কারনে পঙ্গুত্ব বরন করে অক্ষম হয়ে পড়ে আছেন বাড়িতে। এরপর পিতার উপর ঘটলো ওই ঘটনা। এখন আমাদের নিরুপায়।

তিনি আরো বলেন, ৪ ভাইয়ের মধ্যে আমার পিতা সবার ছোট। আমাদের নিজস্ব কোন জায়গা জমিও নাই। যে বিক্রি করে চিকিৎসা ব্যয় চালাব। এখন আপনাই আমাদের একমাত্র ভরসা। এপর্যন্ত আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে চিকিৎসা চলছে। বাকি চিকিৎসা করাতে আপনাদের সহযোগিতা চাই। আলমগীর হোসেন মহেশপুরের আলমপুর ব্রীজঘাট এলাকার বাসিন্দা। সে মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়ামিন মনিরা বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নাই। এখন জানলাম। ওনাদেরকে আমার দপ্তরে একটা আবেদন করতে বলেন। আমি আবেদনটি পাঠিয়ে দিবো সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। এরপর উদ্ধোর্তন কতৃপক্ষ যা ব্যবস্থা নিবার নিবেন।

শেয়ার করুনঃ