ঢাকা, শুক্রবার, ৯ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
মিরপুরে গুপ্তচরবৃত্তি: সাত্তার মোল্লার সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে অস্ত্রের মহামারী,গ্রেফতার না হলে বিপর্যয়ের শঙ্কা
কালীগঞ্জে দুই সন্তানের জননীর রহস্যজনক মৃত্যু
নড়াইলে শিশুস্বর্গের শিক্ষক’ বলদেব অধিকারী’র বিদায় সংবর্ধনা
ফুলবাড়ীতে বিশেষ অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ আটক-৪
ফুলবাড়ী থানা পুলিশের অভিযানে অটোরিক্সা চোর চক্রের পাঁচ সদস্য আটক
নাইক্ষ্যংছড়ি-রামুতে পৃথক অভিযানে আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৫ নেতা গ্রেফতার
নওগাঁয় ককটেল বিস্ফোরণে উড়ে গেল ঘরের টিন
কলেজ ছাত্র হৃদয় হত্যার বিচার’র দাবিতে কলাপাড়ায় মানববন্ধন
সারাদেশে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার আরও ১৬৭৩
বকশীগঞ্জে আ’লীগ নেতা সহ আটক-৫
কালীগঞ্জে ইয়াবাসহ ১ মাদক ব্যবসায়ী আটক
ঢাকায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ৫ নেতা গ্রেফতার
কুয়াকাটায় জমিজমা নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত- ১০
বর্তমান সরকার শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করেনি:অধ্যক্ষ হারুন অর রশীদ
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট, চিকিৎসা সেবা ব্যাহত

‘মাদক কারবারে বাধা দেওয়ায়’মনাকে ছুরিকাঘাতে খুন, গ্রেফতার ৩

রাজধানীর খিলগাঁওয়ে নিখোঁজের দুই দিন পর নদী থেকে উদ্ধার হওয়া মনর হোসেন ওরফে মনা (৩১) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার ও হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে র‍্যাব-১।

র‍্যাবের জানায়, মাদক কারবারে বাধা দেওয়ায় সু-কৌশলে মাছ ধরার কথা বলে মনাকে নদীর পাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে নড়াই নদীর কিনারায় ফেলে দেয় খুনিরা। এ ঘটনায় মূল হোতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো,মূল হোতা কামরুল ইসলাম (৩৬), আকরাম হোসেন ওরফে গুলফাম (২৭) ও মো. আব্দুল বাশার (৪৪)।

বৃহস্পতিবার উত্তরার র‍্যাব-১ এর কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিসিপি-১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. আনিসুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, গত ১২ নভেম্বর বাজার এলাকার মনর হোসেন নিখোঁজ হোন। এর দুই দিন পর ১৪ নভেম্বর দুপুরে নড়াই নদীর কিনারা থেকে লাশটি উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ ও খিলগাঁও থানা-পুলিশ। ঘটনার পরের দিন খিলগাঁও পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করে। মামলার পরের দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে নিহতের পরিবার গিয়ে তাঁর মরদেহ শনাক্ত করে।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আজ সকালে বাড্ডার বড় বেরাইদের ৩০০ ফিট এলাকায় অভিযান চালিয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন—বাড্ডার ওকালদ্দীনের ছেলে কামরুল ইসলাম, একই এলাকার গুলফামের ছেলে আকরাম হোসেন ও আবুল হোসেনের ছেলে আবুল বাশার। আকরাম ও বাশার হলো কামরুলের সহযোগী। গ্রেফতারের পর আসামিরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলেও জানায় র‍্যাব।

আনিসুল ইসলাম খান বলেন, গ্রেফতারকৃতরা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তাঁদের নামে থানায় একাধিক মাদক মামলা চলমান রয়েছে। নিহত যুবক মনর হোসেন ওরফে মনা বিভিন্ন সময় অনৈতিক ও আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে এবং মাদক ব্যবসায় বাধা প্রদান করে। যার কারণে এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী কামরুল, গুলফাম, বাশার এবং আরও কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী মনার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। একপর্যায়ে তারা তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় এবং হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কামরুল, গুলফাম এবং বাশার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা স্বীকার করে এবং নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেয়।

ঘটনার রাতে মাছ ধরার কথা বলে কামরুল ভিকটিমকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসে। কামরুল সম্পর্কে মনার চাচাতো দুলাভাই হওয়ায় সে কোনো রকম সন্দেহ ছাড়াই গভীর রাতে তার সঙ্গে বের হয়। বড় বেরাইদ বাজারের ৩০ ফিট রাস্তার পাশে নদীর ঢালে পূর্ব থেকেই ধৃত আসামি বাশার, গুলফাম ও অন্য আরেকজন ওত পেতে ছিল। তারা চারজন মিলে ভিকটিমকে নদীর মধ্যে নিয়ে যায় এবং গুলফাম পেটে এবং গলায় ছুরি চালায়। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশটি নদীতে ভাসিয়ে দেয় এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি নদীতে ছুড়ে ফেলে দেয়।

ডিআই/এসকে

শেয়ার করুনঃ