ঢাকা, শনিবার, ৫ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুরে কৃষকদলের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলন ও সাংস্কৃতি সন্ধ্যা 
নওগাঁয় মাটিবাহি ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মাদ্রাসা পড়ুয়া শিশুর মৃত্যু
ভূরুঙ্গামারী ফাযিল মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্রদের ঈদ পূর্ণমিলনী
কুয়াকাটা সৈকত দখল করে ঝুকিপূর্ণ মার্কেট নির্মানের অভিযোগ
কুড়িগ্রামে ২৪ পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে কেমন কুড়িগ্রাম দেখতে চাই শীর্ষক মতবিনিময় সভা
বোদায় ট্রাক-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
সরাইলে অভিযানে ৩ হত্যা মামলার আসামীসহ গ্রেফতার ৯
বাগমারায় চুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু:ঘাতকে পিটিয়ে হত্যা করলো উত্তেজিত জনতা
নড়াইলে বিএনপি নেতা সান্টুর উপর ককটেল হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ
লাখো পর্যটকের সমাগম কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে। শতভাগ হোটেল মোটেল বুকিং
আমতলীতে কুপিয়ে স্ত্রীর হাত কর্তন করলেন নেশাগ্রস্থ স্বামী
হোমনায় যুবকের ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার
এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাল শিক্ষা বোর্ড
শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে মোদির সঙ্গে কথা বললেন ড. ইউনূস
প্রথম ধাপে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নেবে মিয়ানমার

শ্রীনগরে ব্যাটারির পানি তৈরির কারখানার আড়ালে চলছে এসিড ব্যাবসা

আলিফ হোসেন স্টাফ রিপোর্টার: মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ব্যাটারির পানি তৈরির কারখানার আড়ালে গড়ে উঠেছে লাইন্সেস বিহীন অবৈধ এসিড তৈরির কারখানা। বেশকয়েক মাস যাবৎ উপজেলার রাঢ়ীখাল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের প্রাণীমন্ডল গ্রামে সেলামতি-প্রাণীমন্ড ইটসোলিং রাস্তার পাশে এই অবৈধ এসিড তৈরির কারখানা গড়ে তোলা হয়।এখানে ড্রাম ভর্তি সালফিউরিক এসিড ও ডিস্টিল ওয়াটারের সংমিশ্রণে ব্যাটারির পানি তৈরি করা হয়। প্লাস্টিকের বোতল ভর্তি পানির গায়ে লেখা এস এ পাওয়ার হ্যামকো, ভলবো সহ আরও বিভিন্ন ব্রান্ডের মোড়ক ব্যবহার করে এসব পানি বাজারজাত করা হচ্ছে। এর আড়ালে একটি দু চালা টিনের ঘরের পিছনে ড্রাম ভর্তি বিভিন্ন গ্রেডের সালফিউরিক এসিড রাখা হয় এই কারখানাটির মালিক প্রানীমন্ডল গ্রামের শেখ হযরত আলীর ছেলে সোহেল ও বাছের মৃধার ছেলে এমদাদ মৃধা। লোকালয়ে এ ধরনের এসিড ব্যাবহারে রয়েছে উচ্চমাত্রার স্বাস্থ্য ঝুকি ও বড় ধরনের দূর্ঘটনার শঙ্কা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সোহেল তার নিজ বাড়ির ঘরের ভিতরে প্লাস্টিকের বোতলে এসিডযুক্ত পানিসহ ঘরের পাশে নীল রঙের কয়েকটি বড় বড় প্লাস্টিকের ড্রামসহ বেশ কিছু গ্যালনের মধ্যে এসিডযুক্ত পানিভর্তি করে রেখেছে। প্রতিনিয়ত সোহেল ও এমদাদ ব্যাটারির পানি তৈরির ব্যবসা আড়ালে অবৈধ ভাবে এসিডের ব্যবসা করে আসছে। এর আগে শ্রীনগর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে তারা এই ব্যাবসা পরিচালনার জন্য কারখানা বসালে ভ্রাম্যমাণ অভিযানে কয়েকবার জরিমানা সহ কারখানা সরিয়ে আনতে বাধ্য হয়। এসিড কারখানার মালিক সোহেল বলেন, আমি আমার ভাগ্নে এমদাদসহ চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ট্রেড লাইন্সেস ও টিন লাইন্সেস নিয়ে যৌথভাবে এই কারখানা দিয়েছি। আরেক লাইন্সেসধারী এক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ডাইলেশন করা এসিড এনে ব্যবহার করছি। তার ব্যবসায়ীক পার্টনার এমদাদ জানান, আমার সব ধরনের লাইসেন্স আছে, চেয়ারম্যান কে জিজ্ঞেস কইরেন তিনি লাইসেন্স দিয়েছে কিনা? এর গাগে এমদাদ শ্রীনগর সদর থানার গোল্ডেন সিটিতে কারখানা দিলে সেখান থেকে ততকালীন ম্যাজিস্ট্রেট জরিমানা করলে সেখান থেকে কারখানা সড়িয়ে হাঁসাড়া স্ট্যান্ড সংগ্রহ কারখানা স্থাপন করেন।হাঁসাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোলায়মান খানের বিসয়টি দৃষিগোচর হলে তিনি সেখান থেকে তার কারখানাটি সরিয়ে নিতে বলেন।এরপর এমদাদগং কারখানাটি শ্যামসিদ্ধি গাদিখাট স্থাপন করলে সেখান থেকেও স্যামসিদ্ধি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজির খানের দৃস্টি গোচর হলে তিনিও কারখানাটি সরিয়ে নিতে বলেন। ঢ়াড়িখাল ইউনিয়নের প্রানীমন্ডলে পুনরায় সোহেলের সাথে এমদাদ যৌথ মালিকানায় কারখানাটি স্থাপন করেন।

এ বিষয়ে শ্রীনগর ফায়ারসার্ভিস ষ্টেশন অফিসার দেওয়ান আজাদের কাছে সোহেল ও এমদাদ ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স নিয়েছে কি- না জানতে চাইলে তিনি জানান, একটি পানি তৈরির কারখানার জন্য লাইসেন্স নিয়েছে।তবে তারা নিজেদের প্রতিষ্ঠানের নামে পানি তৈরি ও এসিড ব্যাবহার করে কিনা তা আমি জানিনা।

এ বিষয়ে রাঢ়ীখাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বারেক খান বারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসিড ব্যাবহার সংক্রান্ত ও ব্যাটারির পানি তৈরীর কোন ট্রেডলাইসেন্স দেইনি।হয়তো তারা অন্য কোন ব্যাবসার লাইসেন্স নিয়ে এটা চালাচ্ছে।

শেয়ার করুনঃ